বাংলাদেশের ঋণ সংকট কতটা প্রকট?

সমকাল ড. আবদুর রশিদ সরকার প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩০

বেশ কয়েক মাস ধরে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটকে সামনে রেখে বাংলাদেশেও অনুরূপ সংকটের আশঙ্কা করেছেন অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের একটা অংশ। শ্রীলঙ্কান সরকার মে মাসে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না মর্মে ঘোষণা দেওয়ার পর বাংলাদেশেও একটা গোষ্ঠী প্রচার করে বেড়াচ্ছে- মেগা প্রকল্পগুলো বিদেশি সাহায্যে করা হয়েছে বিধায় এ দেশেও ঋণ সংকট অবশ্যম্ভাবী। বিদেশি ঋণ নিয়ে একটি দেশ ঝুঁকির মধ্যে আছে কিনা, তা বিচার করা হয় ঋণ-জিডিপি অনুপাত দিয়ে। সাধারণত উচ্চ ঋণ-জিডিপি অনুপাত একটি দেশের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত এবং খেলাপি হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি নির্দেশ করে। কোনো বাঁধাধরা নিয়ম না থাকলেও সচরাচর উন্নত, উন্নয়নশীল ও উদীয়মান দেশগুলোর জন্য ঋণ-জিডিপি অনুপাত যথাক্রমে ৬০ ও ৪০ শতাংশ হলো বিবেচনাপূর্ণ সীমা। তবে এই সীমা অতিক্রম করলে তা আবশ্যিকভাবে গভীর সংকট নির্দেশ করে না। যেমন জাপান ২০০ শতাংশের বেশি ঋণ-জিডিপি অনুপাত নিয়ে উন্নত দেশ আর আফগানিস্তান ৬ শতাংশের কম ঋণ-জিডিপি অনুপাত নিয়েও স্বল্পোন্নত দেশ। ঋণ সংকট মূলত নির্ভর করে ঋণের শর্ত ও ব্যবহারের ওপর।


ট্রেডিং ইকোনমিকস ডট কমের তথ্য অনুসারে, ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার সরকারি ঋণ-জিডিপি অনুপাত ছিল ৭১ শতাংশ; যা ২০২১ সালে এসে দাঁড়ায় ১১০ শতাংশে। বাংলাদেশে এই সময়কালে এ অনুপাত ৩০-৩১ শতাংশে উন্নীত হয়। ভারত ও পাকিস্তানে এই অনুপাত ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল নাগাদ ৬০-৭০ শতাংশের খানিকটা ওপরে পৌঁছে। তবে ভারত ও বাংলাদেশে এই অনুপাত স্থিতিশীল এবং বাংলাদেশের গড় অনুপাত ভারতের চেয়ে অনেক কম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও