প্রস্তাব নিয়ে কৌশলপত্র তৈরি করবে ইসি

যুগান্তর নির্বাচন কমিশন কার্যালয় প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩৬

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে উঠে আসা প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বাস্তবায়নের এখতিয়ার অনুযায়ী প্রস্তাবগুলো কয়েক ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। যেসব সুপারিশ ইসির এখতিয়ারভুক্ত এবং যেগুলো নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে নেই-এমন প্রস্তাব আলাদা করা হচ্ছে। যেগুলোর বাস্তবায়ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল, সংবিধান ও আইন সংশোধন করতে হবে-আলাদা করা হচ্ছে সেগুলোও। প্রস্তাবের ধরন অনুযায়ী কৌশলপত্র তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাব বাস্তবায়নে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, এতে সম্পৃক্ত কারা প্রভৃতি বিষয় উল্লেখ করা হতে পারে। ওই কৌশলপত্র নিয়ে আবারও বিশেষ সংলাপের আয়োজনের পরিকল্পনা আছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। যেখানে ইসির এখতিয়ার নেই-এমন প্রস্তাবগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।


জানা যায়, নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতও গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করছে ইসি। সোমবার পর্যন্ত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন। সংলাপে জাতীয় পার্টিসহ ১৫টি রাজনৈতিক দল ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে এবং আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দল পক্ষে মত দেয়। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দ্রুত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সংলাপে বিএনপিসহ ৯টি রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়াকে রাজনৈতিক কারণ বলে বিশ্বাস করে ইসি। তবে এসব দলের বর্জনে ইসির সংলাপে অপূর্ণতা তৈরি করেছে বলেও মনে করছেন নির্বাচন কমিশনাররা। মোট কথা, সব দলকে সংলাপের টেবিলে আনতে না পারায় ইসি এক্ষেত্রে শতভাগ সফল হয়নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১৭ থেকে ৩১ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে ইসি। এতে নিবন্ধিত ৩৯টি দলের মধ্যে ২৮টি অংশ নেয়। বিএনপিসহ ৯টি দল বর্জন করে এবং দুটি দল সময় চেয়েছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে রোববার কার্যত সংলাপ শেষ হয়। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের অফিসকক্ষে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনাররা। এতে সংলাপে উঠে আসা সুপারিশগুলোর করণীয় নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। সিইসি অসুস্থ থাকায় এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি।


জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা যুগান্তরকে বলেন, আমরা (নির্বাচন কমিশনাররা) অনানুষ্ঠানিকভাবে কিছু সময়ের জন্য বসেছিলাম। সেখানে কনক্রিট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সংলাপে উঠে আসা প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া আরপিও সংশোধনীর খসড়া দ্রুত আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, সংলাপ থেকে আমরা রাজনীতিবিদদের অভিজ্ঞতা নিয়েছি। নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে তারা অনেক কথা বলেছেন, প্রস্তাব রেখেছেন, যা আমাদের জন্য ভালো।


রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে উঠে আসা প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে অপর নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, এগুলো নিয়ে তারা পর্যালোচনা করছেন। প্রস্তাবগুলো নিয়ে স্ট্র্যাটেজিক পেপার তৈরি করা হবে। এরপর আবারও গণমাধ্যম, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞজন ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিশেষ সংলাপ হবে। তিনি বলেন, বিশেষ সংলাপটি অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী। সেখানে সবাই এক মঞ্চেই থাকবেন। সংলাপে কৌশলপত্রটি উপস্থাপন করে অংশীজনের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে। এরপর সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত কৌশলপত্র প্রণয়ন করবে নির্বাচন কমিশন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও