এমপির প্লট-ক্ষুধা, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি আর ‘আইনের শাসন’
এমপি যাকে-তাকে ধরে পেটাতে পারেন। পেটাতে পারেন একজন কলেজ অধ্যক্ষকেও, পেটানোর পর আবার পাশে রেখে প্রহৃত ব্যক্তিকে দিতে বলাতে পারেন কেউ পেটায়নি তাঁকে। এমপির পথের কাঁটা হলে জামাত-শিবির ট্যাগ লাগিয়ে এমপি নিজ হাতে কিল-ঘুষি মারতে পারেন কলেজশিক্ষকদের।
এমপির মোটর শোভাযাত্রা এলাকায় গেলে কোনো মোটরসাইকেল সরতে দেরি করলে সেই মোটরসাইকেল চালককে পেটাতে পারেন এমপি। নিজ পক্ষের পান দোকানদারের সঙ্গে কারও ঝগড়া হলে এমপি সালিস বসিয়ে অভিযুক্তকে চড় থাপ্পড় মারতে পারেন। কমিটি পছন্দ না হলে একজন এমপি বহু নেতা কর্মীর সামনে পেটাতে পারেন উপজেলা চেয়ারম্যানকে। কথা না শুনলে শিশু কোলে থাকা ব্যক্তিকে গুলি করতে পারেন যাতে শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। নিজের দলের কিংবা বাইরে যে কাউকে পেটানো কিংবা কোপানোর মতো যে কোনো হুমকি দিতে পারেন তাঁরা। এসব করেও ন্যূনতম সমস্যায় পড়তে হয় না তাঁদের।