মৌসুমি অ্যালার্জি থাকলে রূপচর্চায় আনতে হবে পরিবর্তন
নিউ ইয়র্ক’য়ের বোর্ড প্রত্যয়িত অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ ও ‘গেট ক্লিয়ারড’য়ের ‘ইমিউলজিস্ট’ পায়েল গুপ্তা বলেন, “মৌসুমি অ্যালার্জি থাকলে রূপচর্চার প্রসাধনী থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অ্যালার্জি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।”
ভারতীয় বংশদ্ভূত এই চিকিৎসক ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলেন, “যাদের ঋতুগত অ্যালার্জি রয়েছে তাদের মধ্যে অন্য অ্যালার্জি হওয়ার তীব্র প্রবণতা দেখা দেয়। মৌসুমি অ্যালার্জি প্রবণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ রাসায়নিক উপাদান বা পণ্য নেই যা তাদের ওপর প্রতিক্রিয়া করে বরং তাদের ত্বক সাধারণের তুলনায় বেশি সংবেদনশীল।”
যে ধরনের প্রসাধনীর ব্যাপারে সাবধান থাকা দরকার
“ভেষজ-ভিত্তিক পণ্য যেখানে আসল ঘাস বা উদ্ভিজ্জ উপাদান ক্রিম ও লোশনে যোগ করা হয়- অ্যালার্জি প্রবণ ত্বকে তা জ্বলুনি সৃষ্টি করতে পারে” বলে জানান ডা. গুপ্তা।
“চোখের মেইকআপ সামগ্রীতে ‘মৌ-মোম’ থাকে যা জ্বলুনি সৃষ্টি করে”, একই প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করেন ওকল্যান্ডের বোর্ড প্রত্যয়িত চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং ‘টোয়েন্টি বিউটি’ মেইকআপ ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ডায়ান হিলাল-ক্যাম্পো।
ঋতু-ভিত্তিক অ্যালার্জি দেখা দিলে বা ত্বক সংবেদনশীল হলে কম প্রসাধনী ব্যবহার করা ভালো বলে মনে করেন, ডা. গুপ্তা।
তিনি বলেন, “সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারীদের যতটা সম্ভব কম উপাদান সমৃদ্ধ ও সুগন্ধিবিহীন প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত। কেননা এগুলো ত্বকে কম জ্বলুনি সৃষ্টি করে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহারেও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এগুলোতে অন্যান্য পণ্যের মতো রাসায়নিক উপাদানও যোগ করা থাকে।”
ত্বকের সঙ্গে এসব প্রসাধনীর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেতে কয়েকদিন সময় লাগে। তাই প্রথমেই এর প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা নির্ধারণ করা কঠিন। সঠিক প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য পণ্যটি কয়েকদিন ব্যবহার করতে হবে।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- রূপচর্চা
- ঋতু অ্যালার্জি