কীভাবে বুঝবেন জন্ডিস হয়েছে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২২, ১৮:৪৭

রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রস্রাবের রং, চোখের শ্বেতমণ্ডল বা স্ক্লেরা, ত্বক ও মুখের ভেতর হলুদ দেখায়। এই পরিস্থিতিকে আমরা জন্ডিস বলে জানি। যকৃৎ বা পিত্তনালির কোনো সমস্যা দেখা দিলেই জন্ডিস হয়ে থাকে সাধারণত। রক্তের বিলিরুবিনের মাত্রা এ সময় ৩ মিলিগ্রাম বা ডেসিলিটারের চেয়ে বেশি হয়ে যায়।


জন্ডিস কেন হয়


মূলত তিনটি কারণে জন্ডিস দেখা দেয়। এক. হেপাটাইটিস বা যকৃতের প্রদাহ। দুই. পিত্তনালির ব্লক বা পিত্তরসের পথে বাধা। তিন. হিমোলাইসিস বা সময়ের আগেই রক্তের লোহিত রক্তকণিকার ভেঙে যাওয়া।


হেপাটাইটিসের অন্যতম কারণ নানা রকম ভাইরাস। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি ও ই ভাইরাসের নাম আমরা কমবেশি জানি। হেপাটাইটিস এ এবং ই দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে। অন্যদিকে বি এবং সি সাধারণত রক্তের মাধ্যমে আর অনিরাপদ যৌনসংসর্গের মাধ্যমে ছড়ায়। এই ভাইরাসগুলো ছাড়াও বিপাকজনিত কিছু সমস্যায়, অ্যালকোহল সেবন বা অটোইমিউন কিছু রোগে যকৃতের প্রদাহ হতে পারে।


যেভাবে বুঝবেন জন্ডিস হয়েছে


জন্ডিসের সাধারণ উপসর্গ হলো চোখ ও প্রস্রাবের রং হলদে হয়ে যাওয়া। ত্বক বা মুখের ভেতরও হলুদ দেখায়। এ ছাড়া অরুচি, ক্ষুধামান্দ্য, বমি বমি ভাব বা বমি, অবসাদ, জ্বর জ্বর ভাব, কখনো পেটব্যথাও হতে পারে। কখনো চুলকানি হতে পারে। এমনটা হলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা, লিভারের এনজাইমগুলো পরীক্ষা করলেই জন্ডিস হয়েছে বোঝা যায়। তবে এই জন্ডিসের কারণ কি, তা জানার জন্য ভাইরাস পরীক্ষা করা দরকার।


গ্রামগঞ্জে ‘মেটে জন্ডিস’ নামে একটা শব্দ চালু আছে। কোনো কারণে খাওয়ায় অরুচি দেখা দিলেই মানুষ ধরে নেয় যে জন্ডিস হয়েছে। নানা ধরনের ঝাড়ফুঁক, তাবিজ–কবচ নেওয়া শুরু হয়ে যায় তখন। আসলে মেটে জন্ডিস বলে কিছু নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও