টাকা চুরির অপবাদে শিশুর মাথা ন্যাড়া-শিকলে বেঁধে নির্যাতন
নেত্রকোনার মদনে টাকা চুরির অপবাদে ১১ বছরের এক শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শিশুটিকে নির্যাতন শেষে মাথা ন্যাড়া করে রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেধে রাখা হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের হস্তক্ষেপে মুক্তি পায় শিশুটি। রোববার (২৪ জুলাই) উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রুদ্রশ্রী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যায় নির্যাতনকারীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুদ্রশ্রী গ্রামের কাজল মীরের ছেলে সুমন মীর (১৮) শনিবার সকালে তার ঘরে সাড়ে ১১ হাজার টাকা একটি বাক্সে রাখেন। টাকা বাক্সে রাখার সময় প্রতিবেশী ওই শিশুসহ তার পরিবারের লোকজন ঘরে উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে হাওর থেকে ফিরে এসে বাক্সের টাকা না পেয়ে ওই শিশুকে সন্দেহ করেন সুমন। পরে সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে পেয়ে সুমন শিশুটিকে তার ঘরে নিয়ে আটকে রাখেন। রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন শেষে রোববার সকালে মাথা ন্যাড়া করে বাড়ির সামনের বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। সকালে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলতান উদ্দিন খুঁটি থেকে শিকলে বাধা শিশুকে মুক্ত করেন। ভুক্তভোগী শিশু বলে, আমি কোনো টাকা চুরি করিনি। আমাকে শনিবার সন্ধ্যা থেকে সুমন তার ঘরে আটকে রেখে কয়েকজন লোক নিয়ে মারধর করে। সকালে আমার মাথার চুল কেটে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। সুলতান মেম্বার আসার পর আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি এর বিচার চাই। এ বিষয়ে নির্যাতনকারী সুমন মীর বলেন, শনিবার সকালে রানার সামনে সাড়ে ১১ হাজার টাকা গুনে আমার বাক্সে রাখি। আমার টাকা রানাই চুরি করেছে। এর জন্য তাকে শাস্তি দিয়েছি। কিন্তু এখনো আমার টাকা উদ্ধার করতে পারিনি। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সুলতান উদ্দিন বলেন, টাকা চুরির অভিযোগে শিশুটিকে মাথা ন্যাড়া করে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে সুমন মীর।