এই গরমে অতিরিক্ত ঘাম হলে যা করবেন
গরমকালের কাঠফাটা রোদে বের হলে ঘামতেই হবে। অতিরিক্ত ঘামে কাপড় ভিজে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। অত্যধিক ঘামের সমস্যাকে ইংরেজিতে বলে ‘হাইপার হাইড্রোসিস’। এটাও দুই ধরনের হতে পারে।
শরীরের কিছু অংশ যেমন : হাত ও পায়ের তালু, বগল, দুই ঊরুর মধ্যকার অংশ ও পেছনে মলদ্বারের আশপাশের জায়গা, নাকের অগ্রভাগ, কপাল ইত্যাদি স্থানে ঘামতে পারে। আবেগপ্রবণতা ও মানসিক চাপ—এটির প্রথম ও প্রধান কারণ। স্নায়ুতন্ত্রের কিছু রোগের কারণেও হতে পারে।
দ্বিতীয় ধরনটি হলো পুরো শরীর ঘেমে যাওয়া। খুব গরম, অত্যধিক আর্দ্র পরিবেশ, ব্যায়াম ও পরিশ্রমের জন্য বেশি ঘাম হতে পারে। তবে অসুখের জন্যও হতে পারে। যেমন : জ্বর ছেড়ে দেওয়ার সময়ের ঘাম। শরীরের হরমোনের তারতম্যের কারণেও হতে পারে। যেমন : ডায়াবেটিস, থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের অতিরিক্ত হরমোন নিঃসরণ, গর্ভাবস্থা, মাসিক বন্ধের পরবর্তী পর্যায়ে, স্নায়ুতন্ত্রের অসুখ ও বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার।
শরীরের ভেতরের কোনো দুর্বলতা, উদ্বেগ, থাইরয়েড ও হৃদরোগের সমস্যা থেকে অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে কি না তা জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আর্দ্র পরিবেশের কারণে ঘাম হলে-
♦ পাতলা ও সুতি কাপড় পরতে হবে
♦ বগলের লোম পরিষ্কার রাখতে হবে
♦ অন্তর্বাস বা আন্ডারওয়্যার নিয়মিত বদলাতে হবে
- ট্যাগ:
- লাইফ
- টিপস
- অতিরিক্ত ঘাম
- তীব্র গরম