টিকটক-ইনস্টাগ্রামেই সংবাদ পড়ছে কিশোর-তরুণেরা: গবেষণা
প্রথাগত সংবাদমাধ্যম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা। তাদের কাছে খবরের উৎস হয়ে উঠছে সোশ্যাল মিডিয়া। বিশেষ করে টিকটক ও ইনস্টাগ্রাম। ব্রিটিশ সরকারের সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকমের নতুন গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।
গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিকটক থেকে হালনাগাদ খবর দেখে নেওয়া লোকের সংখ্যা ২০২০ সালে ছিল ৮ লাখ। ২০২২ সালে সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ লাখে!
আর প্রথমবারের মতো ইনস্টাগ্রাম তরুণদের মধ্যে খবরের সবচেয়ে জনপ্রিয় উৎসে পরিণত হয়েছে। ব্যবহারকারী কিশোর-কিশোরীদের ২৯ শতাংশ খবর পড়ার জন্য এই প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভর করে। এরপরই টিকটক ও ইউটিউবের অবস্থান।
তবে বয়স্কদের মধ্যে এখনো প্রিন্ট, টিভি এবং রেডিওর প্রাধান্য রয়েছে।
টিকটকে খবর পড়া নেটিজেনের সংখ্যা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে মূলত অল্প বয়সীরা। এই শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে খবর পড়া লোকের অর্ধেকের বয়স ১৬ থেকে ২৪ বছর।
অফকম বলছে, টিকটকে সংবাদ পড়া (দেখা বা শোনা) লোকের সংখ্যা এখন স্কাই নিউজ ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের সমান।
টিকটক ব্যবহারকারী যারা সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিল তাঁরা বলেছেন, তাঁরা সংবাদমাধ্যমগুলোর নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে যেখানে ২৪ শতাংশ তাঁদের (পছন্দের বা প্রয়োজনীয়) খবর পান, সেখানে অন্যান্য ব্যক্তি যাদের তাঁরা ফলো করেন তাঁদের কাছ থেকে আরও বেশি (৪৭ %) খবর পান।
এসব প্ল্যাটফর্ম ক্রমেই সংবাদের প্রাথমিক উৎসেও পরিণত হচ্ছে। হয়রানি, নির্যাতন বা অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো ভিডিও টিকটক বা ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হওয়ার পর মূল ধারার সংবাদমাধ্যমগুলোতে সে বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এমনকি সোর্স হিসেবে এসব প্ল্যাটফর্মকেই তারা