পতেঙ্গায় নতুন টার্মিনাল গতি আনবে বাণিজ্যে

ইত্তেফাক ১৩ নম্বর জেটি, পতেঙ্গা খায়রুল আলম সুজন প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২২, ০৯:২১

এ বছরে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে একের পর এক সুখবর মিলছে। পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলে ২১ জেলার ভাগ্য খুলে দিয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রারও পথ খুলে দিয়েছে এই সেতু। এরই ধারাবাহিকতায় এবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অচিরেই চালু হতে যাচ্ছে বন্দরের নতুন কনটেইনার টার্মিনাল। এই টার্মিনালে সারা দেশের আমদানি-রপ্তানিকারকদের পণ্য হ্যান্ডলিং হবে। স্বাভাবিকভাবেই উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জন্য খুব গুরুত্ব বহন করে এই প্রকল্প।


গত সাড়ে ১৪ বছরে সমুদ্রগামী জাহাজের নতুন কোনো টার্মিনাল নির্মাণ হয়নি। সর্বশেষ টার্মিনালটি নির্মাণ হয় ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটির পাশে। এটির নাম নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল। এই টার্মিনালের নির্মাণের দীর্ঘসময় পর পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালুর খবর ব্যবহারকারী হিসেবে আমাদের জন্য বড় সুখবর।


২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বৈদেশিক বাণিজ্য ভাঙছে। বন্দর দিয়ে কনটেইনার ও পণ্য পরিবহন আড়াই গুণ বেড়েছে। এসবই পরিবহন হয়েছে আগের তিনটি টার্মিনাল ব্যবহার করে। তবে এ সময়ে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি বন্দরের বহরে যোগ হয়েছে। নতুন নতুন কনটেইনার ইয়ার্ড হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নদীপথে পণ্য পরিবহনের জন্য পানগাঁও নৌ-টার্মিনাল নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর জন্য নতুন জেটি ছিল না এত দিন। নতুন টার্মিনাল চালু হতে যাওয়ায় সেই ঘাটতিও এবার পূরণ হলো।


নতুন টার্মিনালটি নির্মাণ হয়েছে চট্টগ্রাম ড্রাই ডক এবং চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের মাঝামাঝি। কর্ণফুলী নদীর তীরে এই টার্মিনালে একসঙ্গে তিনটি জাহাজ ভেড়ানো যাবে। আলাদা করে ডলফিন অয়েল জেটি আছে, যেখানে তেলবাহী জাহাজ থেকে তেল খালাস করা যাবে। নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পত্রিকার খবর অনুযায়ী ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ইয়ার্ড ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি এখনো শেষ হয়নি।


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রথম কোনো টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে দেশে। এই প্রকল্পে যুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশলীদের সিংহভাগই এ দেশের। এতে এ দেশের প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার প্রমাণ পাওয়া গেল।


বন্দরে এখন তিনটি টার্মিনাল রয়েছে। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালসহ এই সংখ্যা চারটিতে উন্নীত হবে। এই টার্মিনালে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে মূলত কর্ণফুলীর ভাটিতে নির্মাণ হওয়ায়। অন্য টার্মিনালগুলোর চেয়ে কম সময়ে সাগর থেকে জাহাজ ভেড়ানো যাবে এই টার্মিনালে। পাড়ি দিতে হবে মাত্র ছয় থেকে আট কিলোমিটার পথ। অন্য টার্মিনালে ১৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হতো। এই টার্মিনালের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো অন্য টার্মিনালের চেয়ে বড় জাহাজ ভেড়ানো। বন্দরের অন্য তিনটি টার্মিনালে এখন সর্বোচ্চ সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানো যায়। নতুন টার্মিনালে সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানো যাবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও