কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চলমান এই দাবদাহের কারণ কী?

প্রথম আলো মোস্তফা কামাল পলাশ প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২২, ১৯:৩৯

৫ জুলাইয়ের পর থেকে বাংলাদেশ ও মধ্য ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে মানুষ মারা যাওয়ার খবরও আমরা পাচ্ছি সংবাদমাধ্যম থেকে। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকা বাংলাদেশের মানুষকে বৃষ্টির জন্য আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না। আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো আগামী তিন দিন দেশব্যাপী বৃষ্টির সম্ভাবনা নির্দেশ দিচ্ছে। ৫ জুলাইয়ের পর থেকে বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলো ছাড়া অন্যান্য বিভাগের জেলাগুলো এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি হয়নি বললেই চলে। বাংলাদেশের মানুষের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, জুলাই মাসের ভরা বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের আকাশ মেঘ ও বৃষ্টিমুক্ত কেন? উত্তরটি হলো, বাংলাদেশ এবং মধ্য ও উত্তর-পূর্ব ভারতের ওপর দিয়ে ব্যতিক্রমী বা অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ।


তাপপ্রবাহের সংজ্ঞা কী


কোনো স্থানের ভূপৃষ্ঠের উপরিস্থ (সাধারণ ভূমি থেকে ২ মিটার উচ্চতায়) বায়ুর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (সাধারণত রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা) কমপক্ষে পরপর দিন দিন ওই স্থানের বছরের ওই একই সময়ের বায়ুর সর্বনিম্ন তাপমাত্রার শীর্ষস্থানীয় ১৫ শতাংশ তাপমাত্রার মধ্যে পড়ে, তবে তাপমাত্রার সেই অবস্থাকে তাপপ্রবাহ বলে গণ্য করা হয়। তাপপ্রবাহের সংজ্ঞা নির্ধারণে রাতের তাপমাত্রাকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো গ্রীষ্মকালে রাতে মানুষ যখন ঘুমায়, তখন শরীর তাপ ত্যাগ করে শীতল হয় এবং মানবদেহ পরবর্তী দিনের কাজের জন্য শক্তি সঞ্চয় করে। তাপপ্রবাহের সময় যেহেতু রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক সময়ের তাপমাত্রা অপেক্ষা অনেক বেশি থাকে, তাই মানবদেহ তাপ ত্যাগ করে যথেষ্ট পরিমাণে শীতল হতে পারে না; পারলেও মানুষের হৃৎপিণ্ডকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয় শরীর হতে তাপ বের করে দিতে। ওই একই কথা প্রযোজ্য দিনের বেলাতেও। তাপপ্রবাহের সময় যেহেতু বায়ুর তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে তাই মানুষের শরীর থেকে তাপ বের করে দিতে মানুষের হৃৎপিণ্ডকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। কোনো কোনো সময় মানুষের হিট স্ট্রোক হয়ে যায় অতিরিক্ত গরমের কারণে।


তাপপ্রবাহ কীভাবে সৃষ্টি হলো


উত্তর গোলার্ধে বিষুবরেখা থেকে প্রায় ২৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে বায়ু প্রবাহিত হয়ে থাকে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে। পক্ষান্তরে ৩০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৬০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে বায়ু প্রবাহিত হয়ে থাকে পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে। ৩০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৬০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে (এই স্থানকে আবহাওয়াবিজ্ঞানের ভাষায় এক্সট্রা-ট্রপিক্যাল স্থান বলা হয়ে থাকে) ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার উচ্চতায় জেট স্ট্রিম (জেট তরঙ্গ) নামক বায়ু প্রবাহিত হতো। জেট স্ট্রিম সাধারণত স্থানভেদে ঘণ্টায় ২০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হয় এ কারণে এ বায়ুকে জেট স্ট্রিম (যুদ্ধ বিমানের) নামে অভিহিত করা হয়। এই জেট স্ট্রিমের মাধ্যমেই মেরু থেকে ঠান্ডা বাতাস দক্ষিণ দিকে ক্রান্তীয় রেখার দিকে ও ক্রান্তীয় রেখা থেকে অপেক্ষাকৃত গরম বাতাস মেরুর দিকে নিয়ে পৃথিবীর তাপমাত্রার সাম্য অবস্থা নিশ্চিত করে।


আমরা প্রাইমারি স্কুলেই শিখেছি শক্তি ও ভরের নিত্যতার সূত্র। পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে শক্তি (তাপ) ও ভর (জলীয় বাষ্প) প্রবাহিত হয় বায়ুমণ্ডলীয় তরঙ্গের (ঢেউ) মাধ্যমে। একটি পূর্ণাঙ্গ তরঙ্গ (ঢেউ) একটি তরঙ্গ শীর্ষ (ঊর্ধ্ব অংশ) ও তরঙ্গ পাদ (নিম্ন অংশ) নিয়ে গঠিত। ওপরে উল্লেখিত জেট তরঙ্গ সাপের চালার মতো আঁকাবাঁকাভাবে চলে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়। চলার পথে এই জেট তরঙ্গের শীর্ষ যদি অনেক বেশি উত্তর মেরুর দিকে অগ্রসর হয় ও কোনো স্থানে দীর্ঘ সময় ধরে থেমে থাকে, তবে জেট তরঙ্গের দক্ষিণ দিকের আকাশে বায়ুর নিম্নচাপ এবং ওই স্থানের আকাশের ঠিক নিচে অবস্থিত ভূমিতে বায়ুর উচ্চচাপ অবস্থা বিরাজ করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও