
এবার ৯৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ করা সম্ভব হবে
এবারের কোরবানির ঈদে এক কোটি চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু পাঁচ থেকে ছয় লাখ ছাগল, ভেড়া ও বকরির চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ৯৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে সাড়ে পাঁচ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে ট্যানারিমালিকরা লবণযুক্ত চামড়া সংগ্রহ করবেন।
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি ক্লাবে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মো. শাহীন আহমেদ এসব কথা বলেন। এ সময় সংগঠনটির অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিটিএ সভাপতি বলেন, সরকার নির্ধারিত দরেই চামড়া সংগ্রহ করা হবে। তবে চামড়ার বাজারে বিশৃঙ্খলা রোধে আগামীতে লবণযুক্ত চামড়া ও লবণ ছাড়া কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণের জন্য সরকারের (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়) কাছে প্রস্তাবনা দেওয়া হবে।
কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াকরণই বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ চামড়া প্রক্রিয়াকরণে কেমিক্যাল প্রয়োজন। সুপারভাইজড বন্ড সুবিধার আওতায় ট্যানারি মালিকরা কেমিক্যাল সংগ্রহ করেন। এ বন্ড বহাল রাখা এবং এই সুবিধার আওতা বাড়ানো দরকার। সেজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে। আবেদন গ্রহণ করলে কেমিক্যাল সহজলভ্য হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার চাহিদা বাড়ছে, দেশেও চামড়াজাত পণ্যের দাম বাড়ছে। এরপরও চামড়ার দাম কমছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে শাহীন আহমেদ বলেন, 'চামড়াজাত পণ্য বা চামড়ার দর বহির্বিশ্বে কমেনি। আমরা যে চামড়া উৎপাদন করছি, সেই চামড়া ব্র্যান্ড বায়ারদের কাছে রপ্তানি করতে পারছি না। কারণ আমরা এখনও কমপ্লায়েন্ট হতে পারিনি। তাই কম দামে রপ্তানি করতে হচ্ছে। চীনে রপ্তানি করে যে পণ্যের দাম এখন এক ডলার পাচ্ছি, কমপ্লায়েন্ট হতে পারলে তা দুই ডলারে রপ্তানি করা যেত। এ কারণে বেশিরভাগ ট্যানারি মালিক লোকসান করছেন।'