কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব বিএনপির

সমকাল প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২২, ১৩:৩০

সরকারবিরোধী বৃহৎ জাতীয় ঐক্য গঠনে বিএনপির তৎপরতা আবারও দৃশ্যমান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি পেশাজীবী সংগঠন, বিশিষ্টজনের সঙ্গেও বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ভয়াবহ বন্যা এবং ঈদের কারণে এ প্রক্রিয়া অনেকটা থমকে ছিল। এবার তা জোরেশোরে শুরু করতে চাইছে বিএনপির হাইকমান্ড। সব দল ও মতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জোট গঠনের রূপরেখা তৈরি করতে চায় দলটি।


দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানান, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তাঁরা সব দলকে নিয়ে আন্দোলনে যেতে চান। সেটা যুগপৎ আন্দোলন। ওই আন্দোলন কর্মসূচির জন্য সব দল ও মতের সঙ্গে মিল রেখে রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে সংবিধান, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় আঙ্গিকে সংস্কারের অঙ্গীকার থাকবে। জাতীয় সরকারের রূপরেখা তৈরি করতে এরই মধ্যে দলের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক নেতা কাজ শুরু করেছেন। খসড়া রূপরেখা নিয়ে ফের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি পেশাজীবী, মানবাধিকার সংগঠনসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। প্রতিটি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে তাদের মতামত নিয়ে চুলচেরা বিশ্নেষণ করা হবে। কোনো দলের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিলে আলোচনার মাধ্যমেই তা সমাধান করা হবে। এরপর রূপরেখা ও কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সমকালকে বলেন, বৃহত্তর ঐক্য গঠন প্রক্রিয়া চলমান। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভিন্নমত থাকবেই। আলোচনার টেবিলে এসব মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়েই ঐক্য গঠন করা হবে।


বিএনপি সূত্র বলছে, তাদের ঐক্য প্রক্রিয়ার সংলাপে জামায়াতে ইসলামীসহ ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোও থাকবে। আরও থাকবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ ইসলামী দলগুলোও। রেজা কিবরিয়া এবং নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে যেমন সংলাপ হবে, তেমনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলেও এখন কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে, এমন কয়েকটি দল যেমন- জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি এবং শরিফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন জাসদের একাংশের সঙ্গেও আলোচনার চেষ্টা করা হবে। এর পর বিএনপির নীতিনির্ধারণী বৈঠকে ঐক্যের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। এতে আন্দোলনরত দলগুলোর মধ্যে বড় দল থেকেই সরকারপ্রধান হবেন বলে একটা ধারণা এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারী সব দলকে নিয়েই নির্বাচন-পরবর্তী জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়েও স্পষ্ট করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়েও রূপরেখায় স্পষ্ট করা হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও