মিঠামইনের ৩০ ঈদগাহ পানির তলে, মসজিদে গাদাগাদি করে জামাত
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার সাত ইউনিয়নের ৩০টি ঈদগাহ মাঠ এখনও বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে। মুসল্লিরা ঈদুল আজহার নামাজ বড় বড় মসজিদে তিন থেকে চারটি করে জামাতে আদায় করেছেন। ছোট ছোট মসজিদে সাত থেকে আটটি করেও জামাত হয়েছে।
মুসল্লিরা খুব কষ্টে গাদাগাদি করে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। কোনো কোনো মুসল্লি মসজিদে ঠাঁই না পেয়ে নিজ নিজ বাড়িতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বলেও জানা গেছে।
উপজেলাটির অনেকের বাড়িতেই কোরবানি দেওয়ার মতো শুকনো জায়গা নেই। তাই একসঙ্গে উঁচু জায়গায় তিন চারটি কোরবানি দিতে দেখা গেছে। অনেকেই বড় রাস্তার পাশে কোরবানি দিচ্ছেন।
ঢাকী ইউনিয়নের মুন্সি হাটীর ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি দেলু মিয়া জানান, খুব কষ্ট করে মসজিদে ঈদ নামাজ আদায় করেছেন তিনি। অন্যান্য সময় ঈদগাহের মাঠে নামাজ পড়তেন।
কোনো কোনো এলাকায় গ্রাম্য কোন্দলের কারণে মসজিদে না গিয়ে উঁচু জায়গায় নামাজ আদায় করেছেন অনেকেই।
উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মুসল্লি মো. ছালেক মিয়া জানান, ঘাগড়া বড় রাস্তার পাশে কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে এখনও চার ফুট পানি। ঈদগাহের মাঠের ওপর দিয়ে এখনও নৌকা চলছে। মুসল্লিরা ছোট ছোট নৌকা নিয়ে ঘাগড়া বাজার মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেছেন।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- ঈদের নামাজ
- বন্যা দুর্গত