ঈদে ছোট পর্দার বাজার ২৫০ কোটি টাকা!
ঈদের খুশির সঙ্গে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে বিনোদনজগতের প্রচেষ্টার কমতি নেই। সিনেমা হলে নতুন সিনেমা মুক্তি দেয়া হয়। টেলিভিশনে প্রচার হয় সেরা সেরা নাটক। ঈদ ঘিরে তৈরি হয় আরো নানা পদের অনুষ্ঠান। প্রায় সব টেলিভিশন ঈদকে কেন্দ্র করে সাতদিনের বিশেষ আয়োজন নিয়ে হাজির হয়। ঈদ নাটক সেই আনন্দের বড় অংশজুড়ে থাকে। এছাড়া ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, গানের অনুষ্ঠান, মজার সব অনুষ্ঠান থাকে তাদের অনুষ্ঠানসূচিতে। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ওটিটি ও ওয়েব প্লাটফর্ম। টেলিভিশনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তারাও নিত্যনতুন কনটেন্ট নিয়ে আসছে ঈদ উপলক্ষে। এই যে টেলিভিশনগুলো সাতদিন ধরে বর্ণিল আয়োজনে সাজে, এর জন্য তাদের খরচ করতে হয় অঢেল টাকা। বলার অপেক্ষা রাখে না, সেই টাকা তুলেও নেন আয়োজকরা। প্রশ্ন আসতে পারে, ঈদ ঘিরে বিনোদনজগতের এ আয়োজনের বাজার কত বড়? ঈদ আয়োজনের বাজারের বিস্তৃতি নিয়ে প্রকৃত তথ্য পাওয়া কঠিন হলেও প্রায় কাছাকাছি একটা ধারণা পাওয়া যায়।
টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সাবেক সভাপতির অভিনেতা-প্রযোজক ইরেশ যাকের বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এ বাজার প্রায় ২০০-২৫০ কোটি টাকার। প্রকৃত তথ্য পাওয়া কঠিন হলেও একেবারেই দুষ্প্রাপ্য নয়। বিগত কয়েক বছর টেলিভিশনসংশ্লিষ্ট সংগঠন পরিচালনা করতে গিয়ে এবং প্রযোজনা করতে গিয়ে যে হিসাব পেয়েছি ঈদ ঘিরে টেলিভিশন প্রোগ্রামের বাজার ২০০-২৫০ কোটি টাকার মতো। দুই বছর করোনার কারণে এ বাজার সংকুচিত হলেও গত ঈদুল ফিতরে বাজার পুরোপুরি চাঙ্গা হয়ে যায়। ঈদুল আজহায় আরো বেশি কাজ হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বিপণন কর্মকর্তা জানান, শুধু টেলিভিশন প্রডাকশনের ঈদের বাজার ২০০-২৫০ কোটি টাকা। এর সঙ্গে ওটিটি ও ওয়েব প্লাটফর্ম যোগ করলে তা ৩০০-৩৫০ কোটি টাকার মতো হবে। ঈদের সাতদিনের জন্য নাটক, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানসহ সব মিলিয়ে তার চ্যানেলের প্রডাকশন বাজেট ৫ কোটি টাকারও বেশি।