কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পদ্মা সেতুর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক তাৎপর্য

সমকাল ইশফাক ইলাহী চৌধুরী প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২২, ১১:৫৯

গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাইলফলক হয়ে থাকবে। বস্তুত অনেকে এটিকে স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পদ্মা সেতু, যা বাংলাদেশের অবহেলিত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রাজধানী ঢাকা এবং দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে সড়ক ও পরবর্তীকালে রেলপথের মাধ্যমে যুক্ত করবে, তা আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৩০,০০০ কোটি টাকা, যা মার্কিন ডলারে প্রায় ৩ দশমিক ৭ বিলিয়নের সমান, যার সম্পূর্ণটাই বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটির আরও উল্লেখযোগ্য দিক হলো, প্রকল্পটি একদিকে যেমন ব্যয়বহুল, সেই সঙ্গে প্রকৌশলগত দিক থেকে ছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জিং।
বাংলাদেশের জন্য এটি আত্মসম্মানের ব্যাপার ছিল এ জন্য; ২০১২ সালে যখন প্রকল্পটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আসছিল, তখন দুর্নীতির এক কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক ও পরে এডিবি, জাইকাসহ বিভিন্ন অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্প থেকে তাদের সমর্থন তুলে নেয়। প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ যখন সম্পূর্ণ অনিশ্চিত, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী এককভাবে সিদ্ধান্ত নেন- পদ্মা সেতু প্রয়োজনে বাংলাদেশ তার নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন করবে। সে সময় দেশ-বিদেশে অনেকেই এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন এবং এর বাস্তবায়নের ব্যাপারেও ছিলেন সন্দিহান।


২০১৪ সালে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার ৮ বছরের মাথায় চার লেনের সড়ক অংশটুকু চালু হয়ে গেল। একই সঙ্গে উচ্চ গতিসম্পন্ন ব্রডগেজ রেল যোগাযোগের কাজটিও দ্রুত সমাপ্তির পথে। প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধানে আমাদের নিজস্ব প্রকৌশলী প্যানেলের তত্ত্বাবধানে বিশ্বসেরা প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সহায়তা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কারিগরি দিক থেকে এই সেতুটি সমগ্র বিশ্বে এক অনন্য স্থাপনা হয়ে থাকবে।



ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, যশোর বা খুলনার যাতায়াতের সময় অর্ধেকে নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে সড়কপথে ঢাকা থেকে কলকাতা যাতায়াতে সময় লাগবে ৭ ঘণ্টা। আগামী কয়েক মাসে মধুমতীর ওপর নির্মাণাধীন কালনা সেতুটি চালু হলে এবং সেই সঙ্গে যে দু-একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণের পথে, সেগুলো চালু হয়ে গেলে মাত্র ৫ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়া সম্ভব হবে। ২০২৪ সালের দিকে নতুন রেললাইন চালু হলে ট্রেনে মাত্র ৪ ঘণ্টায় কলকাতা পৌঁছা যাবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা বাইপাস, ঢাকা-সিলেট চার লেন মহাসড়ক চালু হয়ে গেলে পূর্ব ভারত থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সংযোগের ক্ষেত্রে এক নবযুগের সূচনা হতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও