কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিমানবন্দরে লাগেজ পেতে ২ ঘণ্টা, অতিষ্ঠ যাত্রীরা

বাংলা ট্রিবিউন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২২, ১০:২৮

বিমানবন্দরে লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের অব্যবস্থাপনা বেড়েছে। লাগেজ পেতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। একটি ফ্লাইটের লাগেজ সরবরাহ করতে ৬০ মিনিট সময় নির্ধারিত থাকলেও  যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে লাগেজ পেতে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন বয়স্ক, নারী-শিশু এবং অসুস্থ যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ নিয়ে নানারকম কমিটি আর বৈঠক হলেও কার্যকর সুফল আসেনি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে বিমানবন্দরের লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ  এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ বলছে সহসা লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ে সমস্যা দূর হবে না।


দেশের বিমানবন্দরগুলোতে এককভাবে হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পালন করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। শাহজালাল  আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিদিন  প্রায় ২৭টি এয়ারলাইন্সের ১৪০ থেকে ১৫০টি ফ্লাইট ওঠানামা করে। দিনে প্রায় ২২ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। বিদেশি এয়ারলাইনগুলো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে চার্জ দেয়। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং খাতে বিগত ৩ বছরে বিমানের আয় ছিল ৩ হাজার ৪৮  কোটি  টাকা। এটি বিমানের আয়ের অন্যতম খাত হলেও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের পর্যাপ্ত জনবল ও সরঞ্জাম নেই। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নেই মনিটরিং।


সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টায় শিফট ভিত্তিতে বিমানবন্দরে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কর্মীরা কাজ করেন। তবে ফ্লাইটের সংখ্যা বিবেচনা করে কর্মীদের শিডিউল করা হয় না। ফলে  যখন  একসঙ্গে   একাধিক ফ্লাইট বিমানবন্দরে আসে, তখন দায়িত্বে থাকা কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়। বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমানের নেই আধুনিক গাড়ি ও যন্ত্রপাতি। বিমানের কাছে থাকা যন্ত্রপাতি প্রায় সময় বিকল হলে লাগেজে ডেলিভারি দিতে বেশি সময় লাগে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কর্মীদের শিফট পরিবর্তনের সময় ঘটে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ।  শিফটের সময় শেষ হলে কর্মীরা লাগেজ ফেলে চলে যান, অন্যদিকে নতুন শিফটের কর্মীরা না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকে কার্যক্রম। যে কারণে ক্ষুব্ধ বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায়  হ্যান্ডলিং চার্জ বেশি নিলেও মানসম্মত সার্ভিস দিচ্ছে না বিমান। বরং বিমানের কারণে এয়ারলাইনগুলোতে  ইমেজ সংকটে পড়তে হচ্ছে। বিমান রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান হওয়ায় যাত্রীদের অভিযোগ নিয়ে নানা রকম কমিটি আর বৈঠক হলেও কার্যকর সুফল আসেনি। বিমান বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও