পরীক্ষার কী হবে, স্কুল খুলবে কবে, উত্তর পাচ্ছে না হাওরের শিক্ষার্থীরা
বানের জল হঠাৎ ঘরে ঢুকে পড়লে বাড়ির অন্যরা যখন জিনিসপত্র সামলাতে ব্যস্ত, দুই বোন রাবেয়া আক্তার ও তাসলিমা আক্তারের সংগ্রাম তখন বইখাতা নিয়ে।
পড়ুয়া পাঁচ ভাইবোনের কিছু বইখাতা পানির স্রোতের মধ্যেও মাচায় উপর তুলে রক্ষা করতে পেরেছিল ওরা; বাকিগুলো পাঁচদিন ধরে পচেছে বানের পানির নিচে।
ভাইবোনদের মধ্যে রাবেয়ার দুশ্চিন্তাই বেশি; যখন বন্যা শুরু হয়, তার তিন দিন বাদে ১৯ জুন থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বসার কথা ছিল তার।
রাবেয়া সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুর উপজেলার শক্তিয়ার খলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী; ছোট বোন তাসলিমা একই স্কুলে নবম শ্রেণিতে।
১৮ দিন পর শনিবার রাবেয়ারা স্কুলে গিয়েছিল খোঁজ নিতে, কবে নাগাদ পরীক্ষা শুরু হবে, আর কবেই বা বাজবে স্কুলের ঘন্টা।
কিন্তু স্কুলে গিয়ে মানবিক বিভাগের ছাত্রী রাবেয়া দেখল, তার সহপাঠীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড রোদে শুকাচ্ছেন শিক্ষকরা; যেগুলো ভিজে জবজবা হয়েছে বন্যার পানিতে। ক্লাস-পরীক্ষা শুরু কবে হবে, তার উত্তর শিক্ষকদের কাছেও নেই।
“তারাও (শিক্ষকরা) জানেন না, কোন দিন কী হবে। বইয়ের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতেছে, কিন্তু শিওর না,” বললো রাবেয়া।