মক্কায় ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখছেন হজযাত্রীরা
হজের আনুষ্ঠানিকতা আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে। এর আগে হজযাত্রীরা মসজিদুল হারামে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি মক্কায় ইসলামের ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে দেখছেন। নিজ উদ্যোগে অথবা এজেন্সির ভাড়া বাসে ছোট ছোট দলে ঘুরতে যাচ্ছেন তাঁরা।
জাবালে নুর
মক্কায় কাবা শরিফের কাছেই জাবালে নুর বা হেরা পর্বত। এ পর্বতে ওঠানামা বেশ কঠিন। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিয়মিত এ পর্বতে ওঠানামা করতেন। জাবালে নুর পর্বতে উঠতে লাগে সোয়া ঘণ্টা, আর নামতে লাগে আধা ঘণ্টা। মহানবী (সা.) এ পাহাড়ে ধ্যান করতেন। পবিত্র কোরআন প্রথম নাজিল হয়েছিল এখানে। আরবিতে জাবাল মানে পাহাড়, জাবালে নুর অর্থ নুরের পাহাড়। পাহাড়ে কিছু অংশে পাকা সড়ক রয়েছে। কিছু গাড়ি সে পর্যন্ত যায়। এরপর শুরু হয়েছে পাহাড় কেটে তৈরি সিঁড়ি। এখানে সাইনবোর্ডে লেখা আছে, জাবালে নুরের উচ্চতা ৫৬৫ মিটার; অর্থাৎ আধা কিলোমিটারের বেশি উচ্চতা। পাকা সড়ক পর্যন্ত দুপাশে দোকানপাট ও বাড়িঘর গড়ে উঠেছে।
এঁকেবেঁকে সিঁড়ি ওপরে উঠে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় সিঁড়ি বেশ খাড়া। কিছু দূর উঠে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বসার জায়গা করা হয়েছে। পথে পানি, চা ও ঠান্ডা পানীয় বিক্রি হয়।
সিঁড়ি ধরে উঠতে গিয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থেকে আসা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যখন কোনো রাস্তাঘাট ছিল না, তখন কীভাবে নবীজি (সা.) নিয়মিত এই পাহাড়ের চূড়ার গুহায় যাতায়াত করেছেন। খাদিজা (রা.)-ই বা কীভাবে নবীজি (সা.)-এর জন্য এখানে খাবার দিয়ে যেতেন?’