
এবার কেউ চামড়া খালে ফেলবেন না, দামও বাড়বে: দাবি চামড়া ব্যবসায়ীদের
এ বছর ঈদুল আযহায় পশু কোরবানির পর কেউ আর চামড়া খালে ফেলবেন না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এবার কোরবানির পশুর চামড়ার চাহিদাও বাড়তি থাকবে বলে ভালো দাম পাবেন তারা।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার-সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় চামড়া ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে লবণের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখা এবং কাঁচা চামড়ার গুণগত মান বজায় রাখতে এ সভার আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার-সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সভায় চামড়ার দাম ও লবণের মজুদ নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব খান বলেন, গরীব মানুষ চামড়ার ন্যায্য দাম পাবেন এবার। কাঁচা চামড়ার ব্যবসায়ীরাও সেটা চান। এছাড়া বাজারে চামড়ার চাহিদা বেড়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর দাম বাড়তে পারে।
তিনি জানান, গত বছর লবণ দেওয়ার আগে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৩০০ আর সর্বোচ্চ ৯০০ টাকায়। গড়ে এসব চামড়া ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া লবণযুক্ত চামড়ার দর ছিল ৯০০ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা।
আফতাব বলেন, চামড়ার মোট মূল্যের ২০ শতাংশই যায় লবণ আর কেমিকেলে। সেসবের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলে চামড়া সংরক্ষণে সমস্যা হবে না। ভালো দাম পাওয়া যাবে।