কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

স্কুলছাত্রকে শাসন করায় শিক্ষককে হত্যা, কাঁদতে কাঁদতে বাকরুদ্ধ মা

কালের কণ্ঠ আশুলিয়া প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২২, ০৮:৩৭

ঢাকার আশুলিয়ায় নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রের (১৬) ক্রিকেট স্টাম্পের আঘাতে আহত শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার (৩৫) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁর মৃত্যু হয়।


নিহত উৎপল আশুলিয়ার চিত্রশাইলে হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।


শাসন করায় হত্যা!


শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির এক বখাটে ছাত্র। এরপর ওই ছাত্রকে শাসন করেন উৎপল। এর জের ধরে গত শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সে শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়।


সেদিন যা ঘটেছিল


ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানায়, শনিবার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ছাত্রীদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছিল। এ সময় মাঠে খেলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন উৎপল। দুপুর আড়াইটার দিকে স্কুলের ওই বখাটে ছাত্র সবার সামনে ক্রিকেট স্টাম্প হাতে নিয়ে উৎপলের মাথা ও পেটে বেধড়ক আঘাত করতে থাকে। বিষয়টি বোঝার আগেই রক্তাক্ত হন উৎপল। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় নারী ও শিশু কেন্দ্র হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পেটে অস্ত্রোপচার করা হয়। ১৬ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয় শরীরে। গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে না-ফেরার দেশে চলে যান উৎপল।


হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বলেন, ‘আমাদের স্কুলে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। দুপুরে মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক উৎপলকে হঠাৎ করে এসে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে ওই ছাত্র। স্টাম্পের আঘাতে শিক্ষকের মাথায় জখম হয়। ’


অধ্যক্ষ বলেন, উৎপল স্যার স্কুলের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি। তিনি ছাত্রদের বিভিন্ন সময় চুল কাটতে বলাসহ বিভিন্ন আচরণগত সমস্যা নিয়ে কাউন্সেলিং করেন। বিভিন্ন অপরাধের বিচারও করেন তিনি। হয়তো কোনো কারণে সেই শিক্ষকের ওপর ছাত্রটির ক্ষোভ ছিল।


হামলার আগে বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ


নাম প্রকাশ না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী বলেন, ‘হামলার পরে বুঝতে পেরেছি ওই ছাত্র হামলার উদ্দেশ্যে আগেই বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে নিয়েছিল, যাতে সিসি ক্যামেরায় এই ভিডিও দেখা না যায়। ’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও