জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব

জাগো নিউজ ২৪ ড. মতিউর রহমান প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২২, ১০:১৭

বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে আসছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের কার্যকলাপের ফল, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটাতে পারে। করোনা মহামারি ও ইউক্রেন সংকটের মধ্যে আরও একটি দুঃসংবাদ পেল বিশ্ব। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের আন্তঃসরকার প্যানেল (আইপিসিসি) তাদের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলেছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এখনই কমানো না গেলে শিগগির বিশ্ববাসীকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।


প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে বিশ্বে খরা, বন্যা ও তাপপ্রবাহের মতো বিপর্যয় বাড়তেই থাকবে। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন অত্যন্ত অনুভূত হচ্ছে। মানুষ এবং প্রকৃতিকে ২০ বছর আগের তুলনায় আরও চরম আবহাওয়া মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তাপমাত্রার পরিবর্তন বা ভারী বৃষ্টিপাতের মতো ঘটনাগুলো প্রায়শই ঘটছে। পশুপাখি, কৃষি ও মানুষের মধ্যে ক্রমশ প্রাণঘাতী রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। জাতিসংঘ বলছে যে, এই ধরনের প্রবণতা রোধ করতে একটি সুস্থ বাস্তুতন্ত্র এবং সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য নিশ্চিত করতে হবে। এটা সম্ভব হলে জনগণের কল্যাণ ও জীবনযাত্রার পথ টিকবে।


প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে এই বছরটিই সম্ভবত এই শতাব্দীর সবচেয়ে শীতলতম একটি বছর হবে কারণ আমাদের গ্রহ ক্রমাগত উত্তপ্ত হচ্ছে। আইপিসিসি বলছে, বিশ্বের সরকারগুলো জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে প্রতিশ্রুত বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করবে না। বিপরীতে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বাড়ছে। এমনকি কয়েক দশকের গড় নির্গমন সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।


এ অবস্থায় আগামী কয়েক দশকে বিশ্ব তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে। এই হারে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বিশ্বকে এতটাই উত্তপ্ত করবে যে স্বাভাবিক কাজকর্ম করা যাবে না। ফসলের চাষাবাদ ও জীবনযাপন অসহনীয় হয়ে ওঠবে। বরফের পাহাড়গুলো অদৃশ্য হয়ে যাবে এবং বড় শহরগুলো ডুবে যাবে। কিন্তু সরকার এখনও তাদের স্বার্থ ত্যাগ করতে দ্বিধাগ্রস্ত। পরিবর্তে, তারা জীবাশ্ম জ্বালানিতে তাদের করা বিনিয়োগ রক্ষার দিকে বেশি মনোনিবেশ করে আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও