নদীগুলোর পানি কমছে, বাড়ছে দুর্ভোগ
টাঙ্গাইলে যমুনাসহ প্রধান নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করছে। কিন্তু চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পানিবন্দি অসংখ্য মানুষ। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবের পাশাপাশি বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ। চরাঞ্চলে রয়েছে গো-খাদ্যের সংকট।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর, নাগরপুর, গোপালপুর, দেলদুয়ার ও বাসাইল উপজেলার শতাধিক গ্রামের পানিবন্দি মানুষ অত্যন্ত কষ্টে জীবনযাপন করছেন। জেলায় মোট ৮ হাজার হেক্টর জমির ফসলও তলিয়ে যাওয়ায় নানা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন নদীর পানি সরে গেলে ভাঙন আরো বাড়বে। ভাঙণ রোধে আমাদের প্রস্তুতি চলছে।
জেলার কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী, দূর্গাপুর, সল্লা ইউনিয়ন এবং এলেঙ্গা পৌরসভার কিছু অংশের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের গাবসারা, গোবিন্দাসী, অর্জুনা ও নিকরাইল ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে যমুনার পানি ঘরবাড়িতে প্রবেশ করেছে। পানির স্রোতে কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া ও চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে রান্নার মাটির চুলা, গবাদিপশুর রাখার স্থান, টয়লেট, টিওব-ওয়েলসহ চরাঞ্চলের নানা ধরনের ফসল ও সবজিক্ষেত। পরিবারগুলো উঁচু স্থানে আশ্রয়ের জন্য চলে গেছে অন্যত্র। আবার অনেকেই ঘরেই মাচায় রান্না করাসহ কষ্টে দিন পার করছেন। বাসাইল ও মির্জাপুরেও বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া, হুগড়া, কাতুলী ও মাহমুদনগর ইউনিয়নে প্রতিবছরই নদী ভাঙণের শিকার হন মানুষ।