ইতিহাস দেড় শ বছরের পুরোনো
স্বাচ্ছন্দ্যকর পরিবহন হিসেবে বিশ্বের সব দেশেই মোটরসাইকেলের ব্যবহার রয়েছে। তবে তরুণ জনগোষ্ঠীর কাছেই এটি সবচেয়ে জনপ্রিয়। চীন, ভারত ও ব্রাজিলের মতো জনবহুল দেশগুলোয় মোটরসাইকেলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। বর্তমানে মোটরস্কুটার ও দুই বা তিন চাকা মিলিয়ে বিশ্বে আনুমানিক ২০ কোটি মোটরসাইকেল আছে এবং এর ৫৮ শতাংশই এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোয় রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশেও এখন নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩৭ লাখের বেশি।
বিশ্বের প্রথম যন্ত্রচালিত মোটরসাইকেল আবিষ্কৃত হয় ১৮৮৫ সালে। জার্মানির ব্যাড ক্যাস্তাতে এ মোটরসাইকেল তৈরি করেছিলেন সে দেশের দুজন গতলিয়েব ডেইমলার ও উইলহেম মেব্যাচ। তাঁরা জার্মান ভাষায় এটির নাম দেন ‘ডেইমলার রিতওয়াগন’ (ইংরেজিতে রাইডিং কার), বাংলায় ‘চড়ার গাড়ি’। এ মোটরসাইকেল তৈরির জন্য গতলিয়েব ডেইমলারকে মোটরসাইকেলের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তবে মোটরসাইকেলটি নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়নি। এটি ছিল কাঠামোর ভেতর, অর্থাৎ প্রথম অভ্যন্তরীণ ইঞ্জিনে পেট্রোলিয়াম জ্বালানিচালিত মোটরসাইকেল।
তবে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ১৮৯৪ সালে মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করে জার্মানির মিউনিখভিত্তিক হিল্ডেব্র্যান্ড ও উলফমুলার কোম্পানি। এটি বিশ্বের প্রথম মোটরসাইকেল কোম্পানি, যারা ‘হিল্ডেব্র্যান্ড’ ও ‘উলফমুলার’ নামে মোটরসাইকেলের দুটি সিরিজ উৎপাদন করে। হেনরিখ হিল্ডেব্র্যান্ড ও উইলহেম হিল্ডেব্র্যান্ডের উদ্ভাবিত এই দুটি মোটরসাইকেল ছিল পেট্রোলিয়াম জ্বালানিচালিত।
- ট্যাগ:
- প্রযুক্তি
- আবিষ্কার
- মোটরসাইকেল