বৃষ্টি আর বন্যার প্রভাব: সবজির সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে দাম
বন্যা আর বৃষ্টির কারণে গত দুই-তিন দিনের তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কমেছে। ফলে পটোল, কচুর লতি, শসা, টমেটো, ঝিঙ্গা, ধুন্দুলসহ কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বন্যায় ভেসে গেছে। তবে ঢাকায় যেসব এলাকা থেকে শাকসবজি আসে, সেসব এলাকায় এখনও বন্যা হয়নি। কিন্তু বগুড়া, রাজশাহী, কুষ্টিয়াসহ সবজি উৎপাদনের এলাকাগুলোতে গত দুই-তিন দিনের টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে গেছে। এ কারণে সবজি তোলা যাচ্ছে না। ফলে বাজারে গত দুই দিন ধরে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কমেছে। আগামী দুই-একদিন বৃষ্টি থাকলে সবজির বাজারে সরবরাহ আরও কমতে পারে।
রোববার রাজধানীর মগবাজার, তেজকুনিপাড়া ও কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। দুই-তিন দিন আগে টমেটোর দাম ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এ ছাড়া কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকার ঝিঙ্গা ও ধুন্দুল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চার থেকে পাঁচ দিন আগে শসার কেজি ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ১০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। পটোলের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এ ছাড়া ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বেগুন ও কাঁকরোলের কেজি ৫০ থেকে ৬০, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪৫, ঢ্যাঁড়শ ও চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০, মরিচ ৭০ থেকে ৮০, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ এবং কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মগবাজার ও তেজকুনিপাড়া বাজার থেকে কেজিতে তুলনামূলক ৫ থেকে ১০ টাকা কমে সবজি কেনা যাবে কারওয়ান বাজারে। এই বাজারের সবজি বিক্রেতা দুলাল হোসেন সমকালকে বলেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে দুই দিন ধরে সবজি কিছুটা কম আসছে। এ কারণে পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকার মতো দাম বেড়েছে। তবে কারওয়ান বাজারে যেহেতু সবজি পাইকারি হিসেবে বেচাকেনা হয়, তাই ছোট বাজারগুলোর তুলনায় এখানে দাম কিছুটা কম।