পেটসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি
ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ও দুজন শিক্ষক ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারী বলে ধরা পড়েছেন এবং সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত হয়েছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইম এশিয়ায় ছয়জন ভুয়া পিএইচডিধারী শিক্ষকের সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে, তাদের একজন আবার ডাবল পিএইচডি এবং দুটোই ভুয়া। একটি সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এমনই পিএইচডিধারী, টিভি প্রতিবেদনে দেখিয়েছে। আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি জোগাড় করেছেন অনেকেই। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের হিসাবে দেশে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রিধারী ব্যক্তির সংখ্যা সাড়ে আট হাজারের মতো বলে একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে। তাদের মধ্যে আপনার-আমার পরিচিত কজন তো থাকবেনই।
ডক্টরেট ডিগ্রিধারীদের নিয়ে ঠাট্টা-মশকরার শেষ নেই। সৈয়দ মুজতবা আলীও ছাড়েননি। মার্কিনি গল্পটির বিভিন্ন ভার্সন রয়েছে। গল্পটি মোটামুটি এ রকম : ঘোড়দৌড়ে পদকবিজয়ী এক ঘোড়ায় চেপে বিদ্যার্থী জ্ঞানের অন্বেষণে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথে। হঠাৎ চোখে পড়ল একটি পথনির্দেশক তীরচিহ্ন, এ সড়কে সেই বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সবচেয়ে কম সময়ে কম খরচে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়।
ঘোড়ার গতি কমিয়ে তিনি নির্দেশিত পথে এগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছালেন। প্রসপেক্টাস ঘাঁটলেন। মাত্র একশ ডলার। তিনি একশ ডলার জমা দিয়ে রিসিট দাখিল করলেন, রেজিস্ট্রার অফিসে, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ডিপার্টমেন্টে। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পালা। ভেন্ডিং মেশিনে কয়েকটা মুদ্রা ফেলে শীতল এক ক্যান পানীয় কিনলেন। এ সময়ই ডাক পড়ল অ্যাকাডেমিক হলে। এখানেই ডিগ্রিপ্রাপ্তদের অ্যাকাডেমিক গাউন পরিয়ে দেওয়া হয়। প্রবল করতালির মধ্যে ভাইস চ্যান্সেলর পোশাক পরিয়ে দিলেন। ডায়াসে খুব বড় হরফে লেখা নলেজ ইজ পাওয়ার।