১২ বছরে ফল উৎপাদন বেড়েছে ২২%, দরকার ‘আরও’
কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ফল উৎপাদনে বিশ্বে ‘সফলতার উদাহরণ’ হয়ে উঠতে পেরেছে; কিন্তু দেশের মানুষের চাহিদার তুলনায় তা এখনও অনেক কম।
১৬ জুন 'জাতীয় ফল মেলা' সামনে রেখে সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের ফল উৎপাদনের সার্বিক চিত্র তুরে ধরেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে বিশ্বে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হারের রেকর্ড বাংলাদেশের। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসাবে বছরে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে বাড়ছে ফল উৎপাদন।
কাঁঠাল উৎপাদনে এখন বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, পেঁপে উৎপাদনে চতুর্দশ অবস্থানে রয়েছে। মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ।
নিত্যনতুন ফল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ সফলতা পেয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০ বছর আগে আম আর কাঁঠাল ছিল দেশের প্রধান ফল। এখন বাংলাদেশে ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হচ্ছে, যা আগে ৫৬ প্রজাতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
কিন্তু এই উৎপাদনও দেশের প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। দৈনিক যেখানে মাথাপিছু ২০০ গ্রাম ফলের চাহিদা রয়েছে, সেখানে যোগান রয়েছে ৮৫ গ্রামের।
তবে ফল উৎপাদন বাড়ায় বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু দানা জাতীয় শস্য গ্রহণের পরিমাণ কমেছে এবং মাথাপিছু ফল গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০০৬ সালে মাথাপিছু ফল গ্রহণের হার যেখানে ৫৫ গ্রাম ছিল, তা ২০১৮সালে ৮৫ গ্রাম হয়েছে।