পাইকারি ও খুচরায় চালের দামে ফারাক ৭-১০ টাকা
দিনাজপুরে ধান (২৮ ধান) কেনা থেকে মোটা চাল তৈরি পর্যন্ত প্রতি কেজিতে মোট খরচ ৪৮ টাকা। চিকন চালে (মিনিকেট) খরচ ৫২ টাকা। খুচরায় প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয় ৫৫ টাকা। চিকন চাল বিক্রি হয় ৬২ টাকায়। সে হিসাবে উৎপাদন পর্যায় থেকে খুচরায় প্রতি কেজি চালের দামের ফারাক সাত থেকে ১০ টাকা।
ধান-চালের অবৈধ মজুদদারির বিরুদ্ধে পাঁচ দিন ধরে সরকারি অভিযান শুরুর পর কেজিতে দাম এক থেকে তিন টাকা পর্যন্ত কমেছে। মিল মালিকরা বলছেন, সংকটের কারণে চিকন ধানের দাম কেজিতে চার টাকা বেড়েছে। এতে বেড়েছে চালের দাম।
লাফিজুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী জানান, কিছুদিন আগে ধানের দাম বাড়তি ছিল। এ জন্য চালের দাম বেড়ে যায়। অবশ্য এখন ধানের দাম প্রতি বস্তায় (৭৫ কেজি) ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কমেছে। এতে সামনে চালের দাম কমে যাবে। এ ছাড়া চালের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে চারটি পর্যায়ে হাতবদলকে তিনি দায়ী করেন। তিনি বলেন, প্রথমত কৃষকের কাছ থেকে যাঁরা ধান কেনেন, তাঁদের ৮০ শতাংশেরই মিল নেই। তাঁরা ধান কিনে মিলে নিয়ে চাল তৈরি করেন। এরপর ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করেন। ফড়িয়ারা খুচরা বাজারে চাল বিক্রি করেন।