কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মাথাপিছু আয়ের ফাঁকি ও বৈষম্য

www.ajkerpatrika.com চিররঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২২, ১৩:১৬

ধরা যাক একটা জেলায় ১০০ লোক বসবাস করে। তাদের মোট বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকা। যদি আমরা তাদের আর্থিক অবস্থা জানার জন্য তাদের মাথাপিছু আয়ের হিসাব করি, তাহলে ৫ লাখ টাকাকে জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করব। দেখব যে তাদের প্রত্যেকের এক বছরের আয় হচ্ছে ৫ হাজার টাকা (৫০০০০০ ÷ ১০০)। দেখে মনে হয় যে একটা জেলায় একজনের আয় যদি ৫ হাজার টাকা হয়, তাহলে মন্দ নয়। কিন্তু এবার যদি আপনি জানতে পারেন যে ওই জেলায় ছোট একটা প্রশাসন আছে, যেখানে চারজন কর্তাব্যক্তি আছেন এবং তাঁদের অধিকারেই আছে বার্ষিক আয়ের ৪ লাখ টাকা। তাহলে চিত্র পাল্টে যাবে।


৪ জনের মাথাপিছু আয় হবে ১ লাখ টাকা এবং বাকি ৯৬ জনের মাথাপিছু আয় হবে ১ হাজার ৪১ টাকা মাত্র। তাহলে মাথাপিছু আয়ের হিসাব এই জেলায় বসবাসরত জনগণের জীবনযাত্রার অবস্থা বোঝাচ্ছে না কোনোভাবেই। সম্পদ কত আছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ বটে; তবে তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কার অধিকারে সম্পদ কতটুকু আছে এবং কে কতটুকু সম্পদ তাঁর ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার বা ভোগ করতে পারছেন, সেটা। আর এখানেই আসে সম্পদ বণ্টনের বিষয়টি। অর্থনীতিতে সম্পদ অর্জনের চেয়ে সম্পদের বণ্টন অধিক গুরুত্বের দাবি রাখে।


মাথাপিছু আয় একটা দেশের অর্থনীতির আকার কতটুকু, সেটা বুঝতে সাহায্য করে কিন্তু লোকজন কেমন আছে, তারা সবাই ভালো আছে কি না, সেটা বুঝতে সহায়তা করে না; যদি না আমরা জানতে পারি তাদের কার অধিকারে কতটুকু ভোগযোগ্য সম্পদ আছে। শুধু তা-ই নয়, যার যতটুকু ইনকাম, তা দিয়ে কে, কতটুকু জিনিস বাজার থেকে কিনতে পারছে, সেটাও ভালো থাকার একটা মানদণ্ড।


যদি আপনার দৈনিক আয় ১০০ টাকা হয়, এই ১০০ টাকা যদি এক কেজি চাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে সেই আয় আপনার তেমন কোনো কল্যাণ করতে পারে না। অথচ আপনার আয় যদি ৫০ টাকা হয়, সেই টাকা দিয়ে যদি আপনি চাল, ডাল, তেল, মাছ, তরকারি সবই কিনতে পারেন, তাহলে ৫০ টাকা আয়ই অনেক ভালো। কাজেই মজুরি বা আয় বৃদ্ধি হলেই ভালো থাকা যায় না। সেই টাকায় প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারার সামর্থ্য হচ্ছে ভালো থাকা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও