সর্বসাধারণের ব্যবহারাধিকার

দেশ রূপান্তর মঈদুল ইসলাম প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২২, ১৮:১২

কিন্তু, আশা নিয়ে তালে থাকা নেপো বাদী-রেসপন্ডেন্ট আইনের আশ্রয়ে এসে আদালতের প্রশ্রয়ে দু-দুটো ডিক্রির দাঁও মেরে বসে আছে যে ফাঁকতালে! আগে একতরফা একটা, সেটার ভরে পরে দোতরফা আরেকটা। একতরফাটা বহালই আছে, বাতিলের একতরফাও একটা রায়-ডিক্রি নেই। একতরফার ডিক্রিটা পাক্কা একেবারে। পরের দোতরফাটার বিরুদ্ধে এই আপিল এনেছে বিবাদী ভক্ষক-নেপো শঙ্কিত হয়ে। রক্ষক ডেপুটি শঙ্কাহীন! হারাবার কিচ্ছু নেই তার! একতরফাটার বিরুদ্ধে আসেওনি তাই মোটে।


আসেনি দোতরফাটার বিরুদ্ধেও নিজে থেকে। এসেছে ভক্ষক-নেপো পিছে লেগে নিজের আপিলে তাকে রেসপন্ডেন্ট করেছিল বলে পেয়ে আমি ধরে আনাতে। রক্ষক-ভক্ষক এখন বলছে শুধু, একতরফা তাই চলবে না ওই ডিক্রি। এটুকু কথায় তো চিড়ে ভিজবে না আইনের। একতরফা তো হয়েছে কী তাতে? শুধু একতরফায় তো অশুদ্ধ হয় না ডিক্রি। আসল দোষটা কী একতরফার? সে-কথা নেই কারও মুখে আর।   একতরফার রায়-ডিক্রি ঘেঁটে দেখলাম নিজে। ডিক্রিটা নেপো পেয়েছে মুন্সেফি আদালতকে বাংলা ১৩৫৩ সনের একখানা নায়েবি ‘চিট’ দেখিয়ে। নায়েবি ‘চিট’ দাখিলার পত্তনের মামলাই তো করে এসেছি সহকারী জজগিরির শুরু থেকে। পত্তন খুব একটা প্রমাণ হতে দেখিনি সেগুলোতে। উকিল সাহেবদের থেকে বিদ্যা তো কিছু পাওয়ার কথা সেগুলোতে। নিজের ঝুলি ঝেড়ে পাওয়া গেল হাইকোর্টের নজির (১৯৮৪ বিএলডি ১০১), জমিদারের সুস্পষ্ট সম্মতি-অনুমতি ছাড়া পত্তন দেওয়ার ক্ষমতা নেই কোনো নায়েব মশায়ের সাধারণ এখতিয়ারে। সম্মতি-অনুমতির কোনো প্রমাণ পেশ করেনি নেপো সেই মামলায়। শুধু ওই এক ‘চিট’-এ তাই পত্তন প্রমাণ হয় না আইনে।


‘নজরসেলামি’ নিয়ে ‘চিট’ দেওয়া সেই নায়েব মশাইকে আনাও হয়নি আদালতের নজরে। দাতা এসে আদালতে না খাড়ালে নায়েবি ‘চিট’ দাখিলা নেওয়াই যায় না মামলাতে (৩০ ডিএলআর এসসি ৪১), উকিল সাহেবদের থেকে পাওয়া এ-বিদ্যাটাও বের হলো পুরাতন ঝুলি থেকেই। নালিশি দিঘি সর্বসাধারণের ব্যবহার্য বলে লেখা আছে সিএস-এসএ খতিয়ানে। সেখানে স্বত্বের ডিক্রি মারার আগে মামলায় পক্ষ করা দরকার ছিল এলাকাবাসীকে, দরকার ছিল এলাকায় সমন-নোটিস জারির। এসব বিধান লেখা আছে দেওয়ানি কার্যবিধির শুরুর দিকেই (অর্ডার-১, রুল-৮)। এসবের কিছুই হয়নি নেপোর মামলায়। প্রতারণা-জালিয়াতি দেখি একটা না, ঘটেছে পদে পদে মুন্সেফি আদালতে। বিরলের মুন্সেফ বাহাদুর সরলমতি অতি! চোখ বন্ধ করে ছিলেন ‘চিট’-এর ধুলোতে! আইনের এসব দিকের কোনোটায় নজর না দিয়ে শুধু এক ‘চিট’-এর কাহিনী শুনেই ঢিট হয়ে একতরফার ডিক্রিটা হাঁকিয়েছেন চেয়ে থাকা নেপোর পক্ষে! বাহাদুর বটে!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও