কেউ হারাচ্ছেন সর্বস্ব কারও ভাঙছে সংসার
এমবিএ করা স্বরূপা আখতার চাকরি খুঁজছিলেন বেসরকারি ব্যাংকে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় নাহিদুজ্জামান রানা নামের এক সুদর্শন তরুণের সঙ্গে। রানা নিজেকে একটি বেসরকারি ব্যাংকের বড় অফিসার পরিচয় দেন। স্বরূপার বিশ্বস্ততা অর্জনে ভিজিটিং কার্ডও দেন। একপর্যায়ে স্বরূপার সঙ্গে প্রেম, প্রণয়। ঘর বাঁধার স্বপ্ন। এক সন্তানের জননী স্বরূপাকে স্বামী-সংসার ছেড়ে আসতে উৎসাহ দেন রানা।
সরল বিশ্বাসে স্বরূপা স্বামীকে ডিভোর্স দেন। এরপর ব্যাংকে অফিসার পদে চাকরির নামে রানা তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। চাকরি এবং বিয়ে কোনোটাই যখন হয়ে উঠছিল না, তখন স্বরূপা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রানা ব্যাংকের কেউ না। এরপর থেকেই রানা স্বরূপার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে আদালতে মামলা করলে তদন্ত করে এর সত্যতা পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এমন নানা ঘটনা অহরহ ঘটছে। দিনে দিনে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে অনলাইন প্রতারণা। প্রতারকদের লোভের ফাঁদে পড়ে কেউ হারাচ্ছেন সংসার, কেউ জীবনের সর্বস্ব।