গণহত্যা ১৯৭১: পঞ্চভাস্করের যাত্রা
আজ ২০ মে জাতীয় জাদুঘরে গণহত্যা জাদুঘরের উদ্যোগে এক বিশেষ ভাস্কর্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হচ্ছে। গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ৩৮টি ভাস্কর্যের প্রদর্শনী এর আগে বাংলাদেশে হয়নি। পাঁচজন ভাস্কর এগুলি নির্মাণ করেছেন। তারা হলেন রেহানা ইয়ামিন, রবিউল ইসলাম, ফারজানা ইসলাম মিলকি, মুক্তি ভৌমিক ও সিগমা হক অংকন। পঞ্চভাস্কর মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি।
গণহত্যা-নির্যাতনের কথা শুনেছেন কিন্তু বিষয়টি অপরিচিত। গণহত্যার সঙ্গে তাদের পরিচয় গণহত্যা-নির্যাতনের ছবি দেখে। আর এই ছবিতে দেখা বিষয়গুলিই শিল্পরূপ দিতে চেয়েছেন ভাস্কর্যে। এ বিষয়টি লেখা যত সহজ কাজটি তার চেয়েও কঠিন। চিত্রকলায় আলোকচিত্র, একেবারে আলোকচিত্রের প্রতিরূপ সম্ভব। ভাস্কর্যে নয়। সেখানে বিন্যাস, গঠন আলাদা, ফিগারের রেখা আলাদা, পোড়ামাটির সঙ্গে তফাৎ ধাতু ব্যবহারের। পঞ্চভাস্কর নির্বস্তুকতার পথে হাঁটেননি, দর্শকদের সঙ্গে যাতে যোগাযোগ করা যায় তাই এমন বিন্যাস বা গঠন বেছে নিয়েছেন যা দর্শকদের কাছে অচেনা ঠেকবে না। আমার মনে হয়েছে প্রদর্শিত ৩০টি ভাস্কর্য দেখলে দর্শকরা ১৯৭১ সালের গণহত্যা-নির্যাতনের বেদনা মর্মে মর্মে অনুভব করবেন।
- ট্যাগ:
- মতামত
- গণহত্যা
- ভাস্কর্য
- একাত্তরের গণহত্যা