স্পষ্ট হয়েছে রেলের ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি
১৭৬৯ সালে জেমস ওয়াট কর্তৃক বাষ্পীয় রেলইঞ্জিন আবিষ্কারের পর থেকে গত আড়াইশ বছরে রেলকে ঘিরে ভালো-মন্দ মিলিয়ে এত বিচিত্র ঘটনা ঘটেছে যে, উইকিপিডিয়ারও সামর্থ্য নেই এর পুরোটা তুলে ধরে।
তবে এসব ঘটনার বেশিরভাগই ইতিবাচক এবং সেগুলোর মধ্যে এমন বহু ঘটনা রয়েছে, যেগুলো ইতিহাসের গতিপথ পালটে দিয়েছে। একেবারে প্রথম ঘটনাটি হলো, ইউরোপীয় শিল্পবিপ্লবের সূচনাই হয়েছিল বাষ্পীয় রেলইঞ্জিনের হাত ধরে। পরবর্তী সময়ে রেলই হয়ে উঠেছে পৃথিবীজুড়ে যোগাযোগের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম।
এ রেলের কামরায় বসেই মহাত্মা গান্ধী শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানের জুতাজোড়া জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন তার চটিজোড়াকে খুঁজে আনার জন্য। ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনি প্রচারণার অন্যতম মাধ্যম ছিল ট্রেন; যে ট্রেনে চড়ে তিনি সারা দেশ চষে বেড়িয়েছিলেন। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গল্প ‘জতুগৃহে’র পুরোটাই গড়ে উঠেছে ট্রেন আর রেলস্টেশনকে ঘিরে। আর বইপড়ুয়া ইংরেজ এ কাজটির সিংহভাগই সারেন ট্রেনে বসে।