৪৮ শতাংশ মৃত্যুর কারণ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৬ মে ২০২২, ১১:৫৭

এবার ঈদের ছুটির সময় সড়কে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় ৪৮ শতাংশই মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী। এসব দুর্ঘটনার কারণ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই মোটরসাইকেলচালক ছিলেন বেপরোয়া। একটি মোটরসাইকেলে চালকের বাইরে সর্বোচ্চ একজন আরোহী তোলার নিয়ম থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। চালক ও আরোহীদের বেশির ভাগেরই হেলমেট ছিল না। অনেক ক্ষেত্রে বৈধ লাইসেন্সও ছিল না চালকের।


কয়েক বছর ধরেই ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ও মৃত্যু নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠছে। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। প্রতিবারের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে মোটরসাইকেল। প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ এপ্রিল থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ মে) পর্যন্ত সাত দিনে সড়কে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। এর মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশই (৩১ জন) মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী।


সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিশোর-তরুণদের অনেকে নিয়ম না মেনে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালায়, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে। এ ছাড়া মহাসড়কে ধীর গতির যানবাহন চলাচল বন্ধ না হওয়া, চালকদের বিরতিহীনভাবে একটানা যানবাহন চালানো, ফাঁকা সড়কে বেপরোয়া গতি—ঈদের সময় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।


ঈদের পরদিন বুধবার পঞ্চগড় সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পথে দুর্ঘটনায় মারা গেছে তিন কিশোর। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার তালমা-মডেলহাট সড়কে কিশোরদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এরপর তিন কিশোর যে মোটরসাইকেলে ছিল সেটি সড়ক থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিন কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনায় অন্য মোটরসাইকেলে থাকা দুই তরুণও আহত হন।


আর ঈদের দিন মঙ্গলবার টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া তিন বন্ধুর দুজন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। জেলার ধনবাড়ী উপজেলার কুইচামারা সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাদের মোটরসাইকেলটির। ধনবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মোটরসাইকেলটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও