আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি?
রমজান মুমিনের জন্য আল্লাহভীতি ও নেক আমলের প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাস। পবিত্র রমজানে মুমিন চর্চার মাধ্যমে নেক আমলে অভ্যস্ত হয় এবং পরবর্তী মাসগুলোতেও তা পরিপালন করে। রমজানের নেক আমলগুলো যদি পরবর্তী সময়ে ত্যাগ করার অর্থই হলো রমজানের শিক্ষা ধারণে ব্যর্থ হওয়া।
কোরআনের নির্দেশনা : পবিত্র কোরআনে রমজান মাসে রোজা রাখার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা আল্লাহভীরু হতে পারো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৩)
উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহভীতি অর্জন করাকে রোজার রাখার উদ্দেশ্য বলা হয়েছে। আর তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের জন্য সব সময় আবশ্যক। আল্লাহভীতি ছাড়া পরিপূর্ণভাবে ঈমান ও ইসলামের ওপর চলা সম্ভব নয়। তাই কোরআনের শিক্ষা ও নির্দেশনা হলো মুমিন রমজানের ভালো গুণগুলো নিজের মধ্যে ধারণ করবে।
ধারাবাহিকতা মুমিনের বৈশিষ্ট্য : আমলের ধারাবাহিকতা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। কেননা পবিত্র কোরআনে সেসব মানুষের নিন্দা করা হয়েছে, যারা আমল শুরু করার পর তা ছেড়ে দেয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা সেই (নির্বোধ) নারীর মতো হয়ো না, যে তার পাকানো সুতা শক্ত করে পাকিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে। ’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯২)