পর্যটনে লোকসান কাটানোর ঈদ
দুই বছরে টানা চার ঈদকে বিবর্ণ করে রেখেছিল অতিমারি করোনা। এবার ঈদে তাই সুদিন ফেরার অপেক্ষায় সিলেটের পর্যটন খাত। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামবে, এমনটা প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। এর আভাসও মিলছে সিলেটের হোটেলগুলোর বুকিং খাতায়।
অনেক হোটেল, রিসোর্টে ৫০ শতাংশের বেশি অগ্রিম বুকিং হয়ে আছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশও। পর্যটনকেন্দ্রগুলোও নানা প্রস্তুতি সেরে রেখেছে, যদিও গত কয়েক দিনে কালবৈশাখীর রুদ্রমূর্তি শঙ্কাও জাগাচ্ছে। তবু এবার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা এই খাতসংশ্লিষ্টদের।
নগরের আম্বরখানা এলাকার ব্রিটানিয়া হোটেলের ব্যবস্থাপক (বিপণন) কাওসার খান বলেন, ‘এবার ঈদে সিলেটে প্রচুর পর্যটক আসবেন মনে হচ্ছে। আমাদের হোটেলে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশের বেশি কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। অনেকে যোগাযোগও করছেন বুকিংয়ের জন্য। যাঁরা অগ্রিম বুক করছেন, তাঁদের বেশির ভাগই চাকরিজীবী। ’
নগরের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারের হোটেল গোল্ডেন সিটির জেনারেল ম্যানেজার মিস্টু দত্ত বলেন, ‘এবার অনেক মানুষ বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করছেন তবে বুকিং প্রত্যাশার তুলনায় কিছুটা কম হচ্ছে। সিলেটে যেহেতু কয়েক দিন ধরে কালবৈশাখী হচ্ছে, সে কারণে তাঁদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে। তবে আশা করছি, আগামীকালের মধ্যে এই ক্ষেত্রে বড় সাড়া মিলবে। ’
নগরের হোটেলগুলোর মতো বিভিন্ন পর্যটন এলাকার মোটেল ও রিসোর্টও প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। সেগুলোতেও চলছে অগ্রিম বুকিং। পর্যটকদের কাছে সিলেটে আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠা সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় এত দিন রাতযাপনের সুবিধা ছিল না। গত ডিসেম্বরে সাদা পাথর রিসোর্ট চালুর ফলে এবার থাকার সুবিধাও পাবেন পর্যটকরা। রিসোর্টের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রের পাশে হওয়ায় আমাদের এখানে অনেক পর্যটক কক্ষ বুকিং দিচ্ছেন। আমারও তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ’ তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। আরো অনেকে যোগাযোগ করছেন। ’