কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সামাজিক নিরাপত্তা জাল বিস্তৃত করা দরকার

কালের কণ্ঠ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২২, ০৯:১০

আগামী ৯ জুন জাতীয় সংসদে চূড়ান্ত বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার প্রস্তাব করা হচ্ছে ছয় লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ১৫.৪ শতাংশ। নতুন বাজেটে মহামারি-পরবর্তী সময়ে বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় প্রান্তিক মানুষকে রক্ষা করতে কী ব্যবস্থা থাকা দরকার, স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় কেমন বাজেট হওয়া উচিত, অর্থনীতিকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগকে কতটা গুরুত্ব দেওয়ার দরকার, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ কেমন থাকা উচিত—এসব বিষয় নিয়ে কালের কণ্ঠের মুখোমুখি হয়েছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।


খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম : আমাদের মতো উদীয়মান অর্থনীতির জন্য বড় আকারের বাজেটের চাহিদা রয়েছে এবং এটাই স্বাভাবিক। আমরা করোনা-পরবর্তী পুনরুদ্ধার থেকে এখন প্রবৃদ্ধির দিকে অগ্রসর হচ্ছি। এ প্রেক্ষাপটে বড় বাজেটের চাহিদা রয়েছে। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনের প্রেক্ষাপটও এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকতে পারে।


বড় বাজেট ঘোষণার একটি রাজনৈতিক অর্থনীতিও রয়েছে। কারণ বিভিন্ন ব্যয়কে এ ধরনের বড় বাজেটে সন্নিবেশিত করা যায়। অর্জনযোগ্য বা অর্জন অযোগ্য যাই হোক, সবই এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আবার এটাও ঠিক যে শুরুতেই বাজেট কাটছাঁট করে আনলে সব কিছু অন্তর্ভুক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। বড় বাজেটের পেছনে এটাও ভূমিকা রাখতে পারে। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট যে অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত বাজেটের ব্যয় লক্ষ্যমাত্রার এক-পঞ্চমাংশই অর্জন করা যায় না। ফলে দেখা যায়, অনেক প্রকল্প ঝুলে থাকে এবং ব্যয় বৃদ্ধি পায়। সুতরাং বড় আকারের বাজেট ঘোষণা এক দিক থেকে বাজেট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার দুর্বলতার একটি কারণ।


আমরা প্রতিবছরই দেখতে পাই যে বাজেটে যাই থাকুক, বছর শেষে এর বেশির ভাগই অনর্জিত থাকে। যেমন—২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছিল ৮০.৯ শতাংশ। অর্থাৎ ২০ শতাংশই অনর্জিত থাকে। এর পূর্ববর্তী বছরগুলোতেও কমবেশি একই চিত্র দেখা গেছে। এই অর্জন না হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এর সঙ্গে সম্ভবত সরকারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনর্জিত থাকার যোগসূত্র রয়েছে। এই অর্জনের মাত্রাটি বিবেচনা করে বাজেটের আকার বলতে মূলত সরকার অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস পর করা সংশোধনী বাজেটকেই মূল আকার হিসেবে গণ্য করতে চায়। ফলে সংশোধনী বাজেটের কতটুকু অর্জিত হয়েছে সেটিকেই লক্ষ্য অর্জনের নির্দেশক হিসেবে দেখে। ফলে বড় বাজেট ঘোষণার সঙ্গে বাস্তবায়নের একটি ফারাক সব সময়ই থেকে যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও