নবজাতকের যে বিষয়গুলো জানতে চান নতুন মা
সদ্য জন্ম নেয়া শিশুটি যদি পূর্ণ গর্ভকাল পায়, ওজন যদি হয় দুই হাজার ৫০০ গ্রামের বেশি হয় এবং জন্মের সময় শ্বাসজনিত বড় রকমের কোনো শারীরিক ত্রুটি না থাকে, তবে তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক বলা যায়। এমন শিশুকে হাসপাতাল থেকে নিশ্চিন্তে বাড়ি নেয়া যায়। সুস্থ নবজাতককে ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৪৮-৭২ ঘণ্টা পর বাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু সুস্থ শিশুরও চাই সঠিক যতœ। শিশুটিকে কী খাওয়াবেন, কীভাবে ধরবেন, কখন গোসল করাবেনÑএমন অসংখ্য প্রশ্ন নিয়ে নাজেহাল থাকেন নতুন মা। অনভিজ্ঞতার কারণে নানা দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন প্রথমবার সন্তান জš§দানকারী মা।
যে কাজগুলো করতে হবে: ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যেই নবজাতককে স্তন্যদান করানো যায়। তাই জন্মের প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই মাতৃদুগ্ধ পান শুরু করানো উচিত।
নবজাতকের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৬.৫ ডিগ্রি থেকে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখতে হবে। ‘ক্যাঙারু কেয়ার’ পদ্ধতিতে প্রসূতি মায়ের বুকে-পেটে নবজাতককে লেপটে রেখে উষ্ণ রাখা ভালো। এ পদ্ধতিতে নবজাতকের তাপমাত্রার সুরক্ষা, বুকের দুধপানে সহায়তা এবং মা-সন্তানের বন্ধন দৃঢ় হয়। সব নবজাতককে ভূমিষ্ঠ হওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে এক ডোজ ‘কে’ ভিটামিন ইনজেকশন প্রদান করা উচিত। ১০০০ গ্রামের কম ওজনের শিশু ০.৫ মিলিগ্রাম ও তার বেশি ওজনের নবজাতক শিশু এক মিলিগ্রাম ‘কে ভিটামিন’ দিতে হবে।
নবজাতকের চোখের সংক্রমণ প্রতিরোধে (গনোককাল জীবাণু সংক্রমণ), জšে§র এক ঘণ্টার মধ্যে চোখে ইরিথ্রোমাইসিন অয়েন্টমেন্ট বা এক শতাংশ সিলভার নাইট্রেট ড্রপ দেয়া যায়।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- নবজাতক
- নবজাতক শিশু
- নবজাতক জন্ডিস