বোহেমিয়ান, কবি, সাংবাদিক ও পণ্ডিত

ঢাকা পোষ্ট স্বদেশ রায় প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২২, ১০:১০

খুব সকালে তার ফোন। ফোনের ওপ্রান্ত থেকে জানতে চাইলেন, বিছানা ছেড়েছি কি না, না-এখনো বিছানায়। তারপরে চিত্রার খবর, ছেলের খবর জানতে চাওয়া। ধীরে ধীরে বেশ ধাতস্থ করে নিলেন আমাকে আরও অনেক কথা বলে। তারপরে ছোট্ট একটা বাক্য ‘ত্রিদিবটা (ত্রিদিব দস্তিদার) তো চলে গেল।’ রেডি হয়ে চলে এসো, আমি গাজী’র (গাজী শাহাবুদ্দিন আহমদ, সন্ধানী সম্পাদক) ওখানে যাচ্ছি।


খবরটা শুনে বিছানা ছাড়তে যেমন কষ্ট হলো তেমনি বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকি, কে বলে কবি বেলাল চৌধুরী বোহেমিয়ান। সংসারের কোনোকিছু বোঝেন না। খুব সকালে একটা মানুষকে প্রিয়জনের মৃত্যু’র খবর, এর থেকে সহনীয়ভাবে আর কে দিতে পারতো? যাদেরকে ঘোর সংসারী, বিবেচক বলি, তারাও কি সকলে পারতেন!


বোহেমিয়ান তাকে বলা হতো, খুব ছোটবেলায় বাড়ি ছেড়ে ছিলেন বলে। তবে আমার কাছে কখনো মনে হয়নি, বেলাল চৌধুরী উদ্দেশ্যহীনভাবে বাড়ি ছেড়েছিলেন। বোহেমিয়ান, তাকে এক জায়গায় আটকানো যেত না বলে তিনি বাড়ি ছেড়ে ছিলেন।


বেলাল চৌধুরী জাহাজের নিচের পদে একটা কাজ নিয়ে জাহাজে গিয়েছিলেন কৈশোরে। তার মতো বিরাট হৃদয়কে, বিশাল চোখকে যদি সাগর না টানে, তাহলে কে টানবে?


রবীন্দ্রনাথের বাবা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ। যিনি রবীন্দ্রনাথের পিতা না হলে অনেক বড় লেখক হিসেবেই তাকে সকলে চিনতো। হারিয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথের পিতা এই বিশাল পরিচয়ের আড়ালে। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথকে ছোটবেলায় সাগরের কাছে নিয়ে গেছেন, পাহাড়ের কাছে নিয়ে গেছেন। যৌবনে জাহাজে জাহাজে সাগর ঘুরেছেন রবীন্দ্রনাথ। তাই রবীন্দ্রনাথকে কেউ বোহেমিয়ান বলে না।


আর এই সাগরের ডাক শুনে কৈশোরে থাকতে না পেরে প্রেমেন্দ্র মিত্র, বেলাল চৌধুরী, অতীন বন্দ্যোপধ্যায় এরা কৈশোরের নিজের শক্তিকে পুঁজি করে বেরিয়ে পড়েছিলেন সাগরের বুকে বুকে। সাগর থেকে সকলে তুলে এনেছিলেন, নিজের জীবনে সাগরের মতো বিশালত্ব, সাহিত্যকেও নিয়ে গিয়েছিলেন সাগর থেকে ফেরা একটা মানুষের হৃদয়ে। কোনো ঘরকুনো হৃদয়ে নয়। এই সাগরে যাওয়া কি বোহেমিয়ানের পরিচয় না অন্য কিছু?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও