এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে তদন্তে দুদকের ৫ কর্মকর্তা

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২২, ০৯:০৬

সরকারি এক কর্মকর্তার ‘অবৈধ সম্পদের’ খোঁজে একে একে চার কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের সবাই আলাদা আলাদা তদন্ত শেষে ওই কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদ খুঁজে পাননি। তাই তাঁকে দায়মুক্তি দিয়ে নিজ নিজ অনুসন্ধানের ‘পরিসমাপ্তি’ ঘটান। তবে চার কর্মকর্তার দেওয়া ওই প্রতিবেদনে খুশি নয় দুদক। অনুসন্ধানের জন্য আরও একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে আগের চার কর্মকর্তাকে অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তি দেওয়ার বিষয়ে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে।


যাঁর সম্পদ অনুসন্ধানে এত আয়োজন তিনি হলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম। অনুসন্ধান শুরুর সময় তিনি রাঙামাটিতে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে হবিগঞ্জে কর্মরত।


২০১৫ সালের মে মাসে নুরুল ইসলামের অবৈধ সম্পদের খোঁজে নামে দুদক। তখন অভিযোগে বলা হয়েছিল, সরকারি চাকরির সুবাদে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন এই কর্মকর্তা। বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য ওই বছরের ৮ মে তৎকালীন সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয় দুদক। নির্দিষ্ট সময়ে অনুসন্ধান শেষে তিনি সে বছরের ৩০ আগস্ট তদন্ত পরিসমাপ্তির সুপারিশ করেন। জাফর আহমেদ বর্তমানে অবসরে আছেন।


জাফর আহমেদের তদন্ত সন্তোষজনক না হওয়ায় একই বিষয়ে ফের অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপপরিচালক) এরশাদ মিয়াকে। তিনিও অনুসন্ধান শেষ করে ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি পরিসমাপ্তির সুপারিশ করেন। এর কয়েক মাস পর ২০ নভেম্বর দুদক ফের অনুসন্ধানের ভার তুলে দেয় সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপপরিচালক) ফেরদৌসী আহসানের কাছে। ১১ মাস অনুসন্ধানের পর এই কর্মকর্তাও ২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর তদন্ত পরিসমাপ্তির সুপারিশ করেন। পরে একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চতুর্থবারের মতো অনুসন্ধানে সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপপরিচালক) সৈয়দ নজরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনিও ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নুরুল ইসলামের কোনো অবৈধ সম্পদ খুঁজে না পাওয়ায় তদন্ত পরিসমাপ্তির সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।


এই চার কর্মকর্তার কারও প্রতিবেদনেই সন্তুষ্ট হতে পারেনি দুদক। এ কারণে পঞ্চমবারের মতো তদন্তের জন্য ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সহকারী পরিচালক জি এম আহসানুল কবীরকে দায়িত্ব দেয় সংস্থাটি। তাঁর প্রতিবেদনে নুরুল ইসলামের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের সঙ্গে আয় সামঞ্জস্যপূর্ণ বলা হলেও ঢাকায় তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে যৌথভাবে কেনা প্লটের বিষয়টি অসংগতিপূর্ণ বলে ‘সন্দেহ’ প্রকাশ করা হয়। তবে নুরুল ইসলাম ওই প্লট কেনার তথ্যও দুদককে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও