কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এই মৃত্যুর দায় কে নেবে?

জাগো নিউজ ২৪ রাজন ভট্টাচার্য প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২২, ১০:০০

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ছাত্রদের দিনভর মারামারিতে প্রাণ গেল একজন নিরীহ মানুষের। নাহিদ হোসেনের মৃত্যুতে হয়তো পরিবারটিই পথে বসবে। এর দায় কে নেবে? বুধবার সকাল থেকে নিউ মার্কেট এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। যানবাহন চলছে। তবে পুরো ঘটনার নানা দিন নিয়ে আলোচনা সমালোচনা কিন্তু সরব।


ভয়বহ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা, ব্যবসায়ীদের অতি বাড়াবাড়ি, উভয় পক্ষের মধ্যে সহিষ্ণুতার অভাব, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, জনপ্রতিনিধিদের দায় এসব নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বুধবার দেশের প্রায় সবকটি গণমাধ্যমে পুরো ঘটনায় পুলিশের ব্যবসায়ীদের পক্ষ নেয়ার বিষয়ে সমালোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও একই চিত্র। যা কারো কাম্য হতে পারে না। সর্বোপরি কথা হলো এরকম ঘটনায় আমরা সবাই কি চুপ করে থাকবো? কারো কি কোন দায় নেই?


তুচ্ছ বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষ দিনভর মুখোমুখি সংঘর্ষ চালিয়ে যাবে, যানজটে অচল হবে রাজধানী, নাগরিক দুর্ভোগ চরমে উঠবে- রোজার দিনে এমন দৃশ্য দেশবাসী দেখতে চাননি। যে কোনো সংঘর্ষে দু’পক্ষের সহনশীলতার অভাব থাকে। এখানেও ছিল। তারপরও ঢাকা কলেজের শিক্ষকদের চেষ্টা করতে দেখা গেছে বিষয়টি থামানোর। তারা চেষ্টা করতে গিয়ে বেপরোয়া ব্যবসায়ীদের হামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু অন্যপক্ষ থেকে, ব্যবসায়ী নেতাদের কিন্তু মধ্যস্থতা করতে দেখা যায়নি 
ঢাকা কলেজ বন্ধ থাকলে নিউ মার্কেট কেন খোলা থাকবে?’, ‘নিউ মার্কেট এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই’, ‘নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা উগ্র। জিনিসের দাম জিজ্ঞাসা করলেই নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে, না-নিলে গালাগালি দেয়’, ‘পুলিশের ভূমিকা ব্যবসায়ীদের পক্ষে কেন?’
মঙ্গলবার দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এভাবেই নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন। কারণ হলো ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউ মার্কেটসহ আশেপাশের ব্যবসায়ীদের সোমবার মধ্যরাত থেকে সংঘর্ষের ঘটনা। থেমে থেমে যখন ঘংঘর্ষ ২০ ঘণ্টা অতিক্রম করছিল, ঠিক তখনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ক্ষুব্ধ নাগরিক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।


রাতে একজন নিজের ওয়ালে লিখেছেন: ‘এটি একটি বিদ্যাপীঠ। এখানে জ্ঞানের আলোর মশাল জ্বেলে সূর্যোদয় হয়, এখানে নতুন সভ্যতার ফুল ফোটানো হয়। হে জনগণের বন্ধু, সেবক, আপনি কাকে গুলিবিদ্ধ করছেন? ভুল করছেন না তো!’ এই স্ট্যাটাস যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছিল এর আগে ঢাকা কলেজের ভেতরে টিয়াল শেল ছুঁড়ছিল পুলিশ। এই ছবিটি রীতিমতো ভাইরাল এখন সোশ্যাল মিডিয়ায়।


গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ফাস্ট ফুডের দুই দোকান কর্মচারীর বিবাদ এবং একে অপরকে দেখে নেওয়ার জন্য কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ডেকে আনলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এরপর সোমবার মধ্যরাতে দোকান কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মানববন্ধন করতে রাস্তায় জড়ো হয়। এ সময় ব্যবসায়ীরাও বেরিয়ে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও