ময়নাতদন্ত ব্যবস্থার পরিবর্তনে ১১ সুপারিশ পিবিআইর

বিডি নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ০১:০৩

বছর ছয়েক আগে রাজশাহী মহানগরীর একটি হোটেল কক্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।


এ ঘটনার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দুই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন চিকিৎসক। এর ভিত্তিতে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলেও আদালত ঘটনার অধিকতর তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেয়।


পিবিআইর দেড় বছরের তদন্তে বেরিয়ে আসে, আত্মহত্যা নয়, সেটা ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।


রাজশাহীর বরেন্দ্র কলেজের ছাত্র আহসান হাবিব ওরফে রনি, রাজশাহী কলেজের ছাত্র বোরহান কবির উৎস ও আল আমিন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাহাত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করাহয়। রনি ও উৎস আদালতে জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন।


পিবিআই বলেছে, ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যার আগে তারা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণও করেছিল, পরে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রটিকে মাথায় আঘাত এবং ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।


গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পিবিআই অন্তত ২৪টি মামলা পেয়েছে, যেগুলোর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনের ভিন্নতা পাওয়া গেছে।


দেশের মর্গ ব্যবস্থাপনার দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে নির্ভুল ময়নাতদন্তের স্বার্থে পিবিআই কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে ১১টি সুপারিশ করেছে।


পুলিশের বিশেষায়িত শাখাটির প্রধান, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার জানান, সুপারিশমালা বর্তমানে পুলিশ সদরদপ্তরে রয়েছে, সেখান থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও