মুজিবনগর দিবসে শপথ অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে শক্তিশালী করা: ওবায়দুল কাদের
বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে শক্তিশালী করে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে আরও সুসংহত করার প্রত্যয় জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার সকাল ৮টার দিকে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।
এরপর ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মুজিবনগর দিবসে আমাদের শপথ হল, অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে আরও শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুক্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়কে আরও সুসংহত করব।’
ওবায়দুল কাদের এসময় আরও বলেন, ‘যারা ঐতিহাসিক সাতই এপ্রিল যারা পালন করে না, সাতই মার্চ যারা পালন করে না, তারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা নয়। তারা হচ্ছে ছদ্মবেশি বর্ণচোরা।’
এর আগে রোববার ভোর ৬টায় আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু ভবন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারাদেশের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে।
মেহেরপুর মুজিবনগরে ভোর ৬টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোল করে আওয়ামী লীগ। সকাল ১০টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
৫১ বছর আগে আজকের এই দিন একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সূচনাপর্বের এই দিনটিতে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার (বর্তমানে জেলা) বৈদ্যনাথতলার (বর্তমান মুজিবনগর) নিভৃত এক আমবাগানে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছিল স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। সেদিন বিপ্লবী সরকারের মন্ত্রিপরিষদের আনুষ্ঠানিক শপথ ছাড়াও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ ও মুক্তিবাহিনীর মার্চপাস্ট অনুষ্ঠিত হয়।