বাংলার অ্যামাজন এবং একটি ওটিটি সিনেমার স্ক্রিপ্ট
মেয়েটি ফোন করে বলল, ভাইয়া একটা স্ট্ক্রিপ্ট লিখেছি। আপনাকে শোনাতে চাই। স্ট্ক্রিপ্ট লেখা এবং পড়া ছেড়ে দিয়েছি অনেক আগে। হঠাৎ করেই তার কথা শুনে বললাম, এত লোক থাকতে আমি!
সে হাসতে হাসতে বলল, নাহ আমি আরও অনেককেই দেব। ভাবলাম আপনাকে আগে একটু দেখিয়ে নিই।
আমি মুচকি হেসে বললাম, দাও ই-মেইল করে। দেখি কী লিখছ!
সে বলল, আমি আপনাকে গল্পটা নিজে পড়ে শোনাতে চাই। তারপর আপনার মন্তব্য নিয়ে পুরোটা লিখব। তখন পড়তে দেব।
আমি বললাম, ঠিক আছে। তাহলে কোথায় মিট করা যাবে? কভিড তো এখন একটু কমেছে।
মেয়েটি বলল, আমরা কফি ওয়ার্ল্ডে বসতে পারি।
আমি বললাম, ঠিক আছে সন্ধ্যা ৭টায় চলে এসো।
দুই.
কল্পকাহিনিটি এমন- দুই বন্ধু রাস্তার পাশে এক কলেজ ক্যাম্পাসের গেটের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। হঠাৎ দেখল একজন ভদ্রলোকের মোটরসাইকেল নষ্ট হয়ে গেছে। সঙ্গে খুবই সুন্দরী নারী, ভদ্রলোকের স্ত্রী। দুই বন্ধু মিলে ভদ্রলোককে মোটরসাইকেল ঠিক করে দেবে বলে ক্যাম্পাসের ভেতর নিয়ে এলো। সেখানে তাদের আরও শিষ্য রয়েছে। তারা মিলে হঠাৎ করেই ভদ্রলোককে বেঁধে ফেলল। মুখ, চোখ বেঁধে নিয়ে গেল একটা কক্ষে। আর বাকিরা মেয়েটিকে নিয়ে গেল আরেকটি রুমে। কয়েক ঘণ্টা দল বেঁধে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত মেয়েটিকে একটা রিকশায় তুলে দিল। আর লোকটিকে চোখ বেঁধে রেখে এলো কয়েক কিলোমিটার দূরের একটি নিরিবিলি জায়গায়। লজ্জা আর ঘৃণায় তারা আর মুখ দেখাল না কারও। কান্নার নোনাজল হলো সঙ্গী।
এই ঘটনার পর তাদের সাহস আরও বেড়ে যায়। তারা আরও বড় পরিকল্পনা করে। একজন বলল, বস চলেন এটাকে একটা ব্যবসায় পরিণত করি। বস বললেন, কেমন ব্যবসা? শিষ্য বলে, এই ধরেন আমরা টাকার বিনিময়ে ভালোবাসা করতে দিলাম আর কি! বস জবাব দেন, পারবি? লোকজন জানাজানি হইলে বিপদ হইবো তো।
শিষ্য বলে, এটা তো ই-লাভ, ইলেকট্রনিক ভালোবাসা। আমরা নতুন ধররের অ্যামাজান বানাব।
খবরটি বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো ছড়িয়ে গেল পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায়। সেই জোয়ারে পাল তুলল সমাজের শিল্পী, সাহিত্যিক, মডেল, লেখক, সাংবাদিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব থেকে অসংখ্য সেলিব্রিটি। উদ্যোক্তারা পুরস্কৃতও হলো এমন চমৎকার আইডিয়ার জন্য। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-লাভ কোম্পানি তৈরি হলো।
শুরু হয়ে গেল জমজমাট ব্যবসা। সবাই তার ফেয়ার শেয়ার নিতে চলে এসেছে। কেউ এসেছে ভালোবাসার সহায়ক সামগ্রী বিক্রি করতে। কেউ এসেছে ডিসকাউন্ট কুপন নিয়ে, কেউ এসেছে ফ্রি হেলথ চেকআপ। যাদের মাথার চুল সাদা হয়ে গেছে তাদের জন্য কলপ দেওয়ার সেলুন, আর যাদের ভুঁড়ি বেড়ে গেছে তাদের জন্য চলছে মেদ-ভুঁড়ি কী করি প্রোগ্রাম।