চাঁদা আদায় এখন মাসিক চুক্তিতে, দেওয়া হয় কার্ড
প্রথম আলো
প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০২২, ১১:০০
রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া বাজার থেকে সবজির ট্রাকে উঠে বসলাম গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায়। ঢাকায় পৌঁছালাম গতকাল বুধবার সকাল ছয়টায়। প্রায় আড়াই শ কিলোমিটারের এই যাত্রায় সবজির ট্রাকটিকে কোথাও পুলিশ থামায়নি। একটি টাকাও নেয়নি। অথচ সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা নেওয়ার জোরালো অভিযোগ শোনা যায়।
ট্রাকটির চালক জানালেন, সড়কে নয়, এখন চাঁদা নেওয়া হয় মাসিক চুক্তিতে। দুই হাজার টাকা পরিশোধ করলে একটি কার্ড পাওয়া যায়। সেই কার্ড দেখালেই পুলিশ ট্রাক ছেড়ে দেয়। কার্ড না থাকলে গাড়ির নথিপত্র ঠিক থাকলেও অনেক সময় হয়রানির মুখে পড়তে হয়। চাঁদার কার্ডটিও দেখিয়েছেন এই চালক। তিনি বলেছেন, সারা দেশে ৩১০টি জায়গায় (স্পট) এই কার্ড দেখালে কাজ হয়। অবশ্য তারপরও চা পানের কথা বলে পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাঝেমধ্যে কিছু টাকা নেন।