থমকে আছে মহাসড়কে পলিমার বিটুমিনের ব্যবহার কার্যক্রম
পলিমার মডিফাইড বিটুমিন আমদানির পর দেশীয় ল্যাবে পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেশে এ ধরনের ল্যাব বা প্রযুক্তির কোনোটাই নেই। এই বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে পলিমার মডিফাইড বিটুমিন ব্যবহার করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেরামতের প্রকল্প নেওয়া হয়। ফলে টেস্টিং জটিলতায় তিন বছর আগে নেওয়া প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি নেই।
মহাসড়ক আরও টেকসই করার জন্য দেশে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হবে এই বিশেষ ধরনের বিটুমিন—পলিমার মডিফাইড বিটুমিন (পিএমবি)।
২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার মহাপরিকল্পনা হাতে নেয় সরকার। ওই সময় বাজেট ধরা হয় ১,৬৯৯ কোটি টাকা। এক দশক পর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয় ১৯২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই মহাসড়ক নির্মাণের কাজ। খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৩,৬০০ কোটি টাকা। তবে নির্মাণের সাত মাসের মধ্যেই সড়কটিতে দেখা দেয় গর্ত আর খানাখন্দ। এর জন্য দায়ী করা হয় ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ-প্রক্রিয়া আর অতিরিক্ত ভারবাহী যানবাহনকে।
গর্ত আর খানাখন্দের কারণে এই মহাসড়কে—যা কিনা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রধান পরিবহন পয়েন্ট—যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছিল। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় এই মহাসড়কের বিভিন্ন অংশের সংস্কারকাজ। কিন্তু এ ধরনের সংস্কারকাজের মাধ্যমে সাময়িকভাবে মহাসড়কের অবস্থা কিছুটা সহনীয় হলেও কয়েকদিন যেতে-না-যেতেই এর অবস্থা আবারও আগের মতোই হয়ে যায়।
এরই প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ৭৯৩ কোটি টাকার এই সংস্কার-প্রকল্প নেওয়া হয়। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে সড়কটির সংস্কারের জন্য এই ব্যয় ধরা হয়েছে। মহাসড়কে তৈরি হওয়া গর্ত সংস্কার না করেই বিদ্যমান সারফেসের উপর শুধুমাত্র ৫০ মিলিমিটার পুরু করে বিটুমিন বসানোর পরিকল্পনা ছিল অনুমোদিত প্রকল্প প্রস্তাবে।