নৌনিরাপত্তা ব্যবস্থার গোড়াতেই ত্রুটি

যুগান্তর প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২২, ০৯:৫৪

ঢাকা (সদরঘাট) থেকে দূরপাল্লার রুটে চলাচলকারী অন্তত ১২টি বড় যাত্রীবাহী লঞ্চ পরীক্ষা করে ইঞ্জিনগত ত্রুটি পাওয়া গেছে। ওই লঞ্চের ইঞ্জিনের বডির ওপর ব্র্যান্ড, হর্সপাওয়ার (শক্তি), নির্মাণ সাল কিছুই উল্লেখ নেই। পুরোনো ইঞ্জিন দিয়ে চালানো হচ্ছে এসব লঞ্চ। অথচ সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন সনদে ভিন্ন ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিনের নাম ও মডেল উল্লেখ রয়েছে।


গত ডিসেম্বরে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ভয়াবহ আগুনে প্রায় অর্ধশত মানুষ মারা যাওয়া অভিযান-১০ লঞ্চেও পুরোনো ইঞ্জিন ছিল। এছাড়া মাওয়ার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী-মাঝিকান্দি রুটে চলাচলকারী ৮৪টি লঞ্চের সবকটিতে কমবেশি নিরাপত্তা ত্রুটি পাওয়া গেছে। এসব লঞ্চের মধ্যে কয়েকটির ভারসাম্যগত ভয়াবহ ঝুঁকিও রয়েছে।


সম্প্রতি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের নিজস্ব একাধিক প্রতিবেদনে এসব ত্রুটি উল্লেখ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে। সূত্র আরও জানায়, গত নয় বছরের মধ্যে ২০২১ সালে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ওই বছর ৩৯টি দুর্ঘটনায় ১৪৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। আহত হন ১৭৯ জন। এর আগে ২০১২ সালে ১৪টি দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন মারা যান।


সূত্র মতে, নৌযানের কারিগরি ত্রুটির পাশাপাশি পরিচালনা কার্যক্রমেও বড় ঝুঁকি রয়েছে। দেশে অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী নিবন্ধিত ১৪ হাজার ৮০৫টি নৌযানে চাহিদার তুলনায় প্রায় অর্ধেক সংখ্যক সনদধারী চালক ও ইঞ্জিন পরিচালনাকারী ড্রাইভার রয়েছেন। বড় নৌযানে মোট চারজন চালক এবং ইঞ্জিন ড্রাইভার থাকার নিয়ম। বাস্তবে আছে ১২ হাজার ৫৬ জন মাস্টার ও ১১ হাজার ৩০৭ জন ড্রাইভার। এ হিসাবে প্রতিটি নৌযানে দুজন করে সনদধারী মাস্টার ও ড্রাইভার নেই। ফলে বিপুলসংখ্যক নৌযানে রয়েছে অনভিজ্ঞ চালক ও ড্রাইভার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও