কূটনৈতিক সমাধান না হলে যুদ্ধ দীর্ঘ হবে
রাশিয়ার ভাষায় ইউক্রেন আক্রমণ ছিল বিশেষ অভিযান। আসলে তা আগ্রাসন। রাশিয়া যত দ্রুতগতিতে এটি শেষ করার পরিকল্পনা করেছিল, বাস্তবে তা হয়নি। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কাছ থেকে এবং বিশেষ করে জনগণের কাছ থেকে রাশিয়াকে প্রতিহত করার যে উদ্যম দেখা গেছে তা হয়তো রাশিয়া আশা করেনি।
এ কারণে এক মাস পরও রাশিয়া কার্যত ইউক্রেনের কোনো বড় শহর ও রাজধানীর দখল নিতে পারেনি।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার আগ্রাসী বাহিনীর কাছে ইউক্রেনের কিছু জানমালের ও সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তবে এখন যে ধারাতে তারা আক্রমণ পরিচালনা করছে তাতে তাদের গতিবেগ আগামী কয়েক দিনে আরো বাড়বে। রাশিয়া ইউক্রেনের যে বড় শহরগুলো দখল করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সেখানে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করছে। এখন তাদের দুটি বড় লক্ষ্য দেখা যাচ্ছে। একটি হলো বন্দরনগরী মারিওপোল। বন্দরনগরী দখল করলে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরে পৌঁছতে পারবে। সেটা তাদের বড় প্রয়োজন।
মারিওপোলের অবস্থান ডনবাস ও ক্রিমিয়ার মাঝামাঝি স্থানে। রাশিয়া যদি মারিওপোল দখলে নিতে পারে তাহলে এই ডনবাস, যেটি তাদের ভাষায় স্বাধীন অঞ্চল এবং ক্রিমিয়া, যেটি দখল করে নিয়েছে; তার ভেতর দিয়ে স্থল করিডর স্থাপন করতে চাচ্ছে। তাই মারিওপোলে তারা বড় ধরনের আক্রমণ পরিচালনা করছে। রাশিয়া সেখানে ইউক্রেন বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ ইউক্রেন বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।