পকেটে যা আছে তাতে হবে না, আরও লাগবে, তাই আবার টাকা ধার

প্রথম আলো বনানী কবরস্থান প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২২, ১৩:২১

বনানী কবরস্থানে মালির কাজ করেন আবদুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সোয়া একটার দিকে পরিচিত একজনের কাছে খবর পান, বনানী কাঁচাবাজারের পাশে টিসিবির পণ্য নিয়ে ট্রাক এসেছে। তখন তাঁর পকেটে ছিল মাত্র ২১০ টাকা। আরেক মালি মামুনকে অনেক বলেকয়ে ৫০০ টাকা ধার নিয়ে ছুটে যান টিসিবির ট্রাকের কাছে।


ঠিক যেখানটায় টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) ট্রাক এসে থেমেছে, সেখান থেকে কবরস্থানের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। হেঁটে এই পথটুকু পাড়ি দিয়ে ট্রাকের সামনে আসার পর জানতে পারেন পণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘প্যাকেজ’ পদ্ধতিতে। অর্থাৎ ট্রাকে থাকা সয়াবিন তেল, মসুর ডাল (মোটা দানা), চিনি, পেঁয়াজ, ছোলা ও খেজুর—এই ছয় পণ্য নির্ধারিত পরিমাণে একসঙ্গে কিনতে হবে। লাগবে সর্বমোট ৯৪০ টাকা। কিন্তু ধার করার পরও তাঁর পকেটে আছে ৭১০ টাকা। পরে আবার কবরস্থানে ফিরে যান। যাঁর কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার করেছিলেন, সেই মামুনের দ্বারস্থ হন আবার।


মামুন আর আবদুর রহমানের বাড়ি একই এলাকায়, চাঁদপুরের মতলবে। বাড়িতে গতকালই কিছু টাকা পাঠানোর কথা ছিল মামুনের, সেটি জানতেন আবদুর রহমান। আরও ৫০০ টাকা ধার দেওয়া নিয়ে প্রথমে কিছুটা আপত্তি করলেও পরে দিতে রাজি হন মামুন। সেই টাকা নিয়ে আবার কবরস্থান এলাকা থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত যেতে হয় তাঁকে। ভাগ্য ভালো তাঁর, লাইন তখন খুব একটা দীর্ঘ ছিল না। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পণ্য কেনার সুযোগ পান তিনি।


বনানী কবরস্থান ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। আবদুর রহমান সিটি করপোরেশনের কর্মী নন। তবে সারা দিন সেখানেই পড়ে থাকেন। কেউ জিয়ারত করতে গিয়ে স্বজনের কবরের চারপাশের আগাছা পরিষ্কারের জন্য বা কবরের পাশে ফুলগাছ লাগানোর কাজ দিলে সেটি করে দেন তিনি। ওই ব্যক্তি ‘খুশিমনে’ যা দেন, সেটিই তাঁর মজুরি। দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা হাতে আসে তাঁর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও