পঞ্চগড়ে পৌঁছে গেছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ

প্রথম আলো ইউক্রেন মো. তৌহিদ হোসেন প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২২, ১৫:৫৬

সবাই বিশ্বাস করছিল যুদ্ধটা হবে না। ঐতিহাসিকভাবে ইউক্রেনীয় আর রুশরা পরস্পরের জ্ঞাতি। ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতির বন্ধনও খুব দৃঢ়। কালজয়ী লেখক নিকোলাই গোগল রুশ না ইউক্রেনীয়—এ নিয়ে বাহাসও চলমান। সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক লিওনিদ ব্রেঝনেভের জন্ম ইউক্রেনে। রুশ আত্মীয়, বন্ধু নেই এমন ইউক্রেনীয় নিতান্ত বিরল। ইউক্রেন সীমান্তে পুতিন যখন সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র জড়ো করছিলেন, সবাই তখনো ভাবছিল এর সবই চাপ সৃষ্টির জন্য। পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করবেন, পুনঃপুনঃ উচ্চারিত মার্কিনদের এমন হুঁশিয়ারিকেও কেউ অতটা গুরুত্ব দেয়নি।


যুদ্ধ বাধলই তবু। এর বিভিন্ন নাম দেওয়ার চেষ্টা করেছে বিভিন্ন দেশ, তবে বাস্তবতা হচ্ছে এটি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নিখাদ ও নগ্ন রুশ আগ্রাসন। কোনো যুক্তিতেই শান্তিপূর্ণ সার্বভৌম একটি দেশের বিরুদ্ধে এ আগ্রাসন সমর্থন করা যায় না এবং রাশিয়ার (বা পুতিনের) এ কর্ম নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। তবে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ক্ষেত্র প্রস্তুতে পশ্চিমের ভূমিকাকেও খাটো করে দেখার উপায় নেই। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ওয়ারশ জোট ভেঙে যাওয়ার পর ন্যাটোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক দুরবস্থায় নাকাল রাশিয়া তখন অনেকটা যেন পশ্চিমের করুণার পাত্র। একটা সুস্থ অর্থনীতি ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির যে প্রত্যাশা রুশ জনগণের মধ্যে ছিল, পশ্চিম সেটাকে সহায়তা করতে পারত। তা না করে ওয়ারশ জোটভুক্ত দেশগুলোতে বটেই, এমনকি বাল্টিক অঞ্চলের তিন সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তাবোধের অভাবকে আরও উসকে দেয় পশ্চিমা শক্তি। রাশিয়ার গভীরে প্রসারিত ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ও আশঙ্কা—রাশিয়ার পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন, পশ্চিমের তা বুঝতে পারা উচিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও