কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাজাপুর সেতু: ভূমি জটিলতায় ঝুলে আছে শত কোটি টাকার প্রকল্প

ঢাকা টাইমস কুলাউড়া প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২২, ১৯:৫০

ভারতের কৈলাশহর থেকে চাতলাপুর চেকপোস্ট হয়ে ভারত থেকে আমদানি পণ্য দ্রুত চলে আসবে কুলাউড়া, জুড়ী, বিয়ানীবাজার, বড়লেখাসহ সিলেট অঞ্চলের বাজারে। আবার হাকালুকি হাওরের মাছ ও স্থানীয় ভাটাগুলোর ইট দ্রুত রপ্তানি হবে ভারতে। দূরত্ব কমে আসবে প্রায় সাড়ে ১১ কিলোমিটার। কমবে আমদানি-রপ্তানি খরচ ও পণ্যের বাজার দর। চাতলাপুর স্থলবন্দরে বাড়বে আমদানি-রপ্তানি ব্যস্ততা। হবে কর্মসংস্থান। এমনকি কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা উপজেলার অর্ধশতাধিক আদিবাসী পল্লীসহ এলাকায় উৎপাদিত পান ও কৃষিজাত হাজার হাজার টন পণ্য এক ঘণ্টার কম সময়ে চলে যাবে শ্রীমঙ্গল শমসেরেনগরসহ বড় বড় হাটে। এমন নানা বিবেচনায় কুলাউড়া- পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরীফপুর সড়কের রাজাপুর এলাকায় মনু নদীর ওপর প্রায় ১০০ কোটি টাকায় একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্বোধনের অপেক্ষার প্রহর গুনছে কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, জুড়ী- এই তিন উপজেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষ। অথচ ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় শতাধিক কোটি টাকার এমন একটি মেঘা প্রকল্পের কাজ আটকে আছে। উদ্বোধন পিছিয়ে গেছে আরও দুই বছর।


কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিপিবি সভাপতি আব্দুল লতিফসহ শালিকা এবং হাজিপুর ইউনিয়নের মাদানগর উপরিভাগ শুকনাভী এলাকার বাসিন্দারা জানান, কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরীফপুর সড়কের ১৫তম কিলোমিটারে মনু নদী। এই নদী দ্বিখণ্ডিত করে রেখেছিল বিশাল দুই জনপদ। দক্ষিণ কুলাউড়া এবং উত্তর কমলগঞ্জ উপজেলাকে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা দাবি তুলি, রাজাপুর সেতুর। লাগাতার আন্দোলন সংগাম হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তৎকালীন সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরীফুর সড়ক প্রশস্তকরণসহ রাজাপুর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তন হলে আবারও বন্ধ হয়ে যায় এই উদ্যোগ। ফলে আবারও কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা এবং হাজীপুর ইউনিয়নের মানুষ আন্দোলন শুরু করে। মনু নদীতে মানববন্ধন, মিছিল সমাবেশ হয় কয়েক বছর। এ অবস্থায় ২০১৮ সালে রাজাপুর ব্রিজ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এর সভায় অনুমোদন করে সরকার। ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি ১৭ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।


সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, প্রকল্প প্রস্তাবনায় সড়কের ১৫তম কিলোমিটারে ২৩২ দশমিক ৯৪ মিটার পিসি গার্ডার সেতু, তিন লাখ ৪৯ হাজার ঘন মিটার মাটি ভরাট করে ৭.৫ কিলোমিটার সংযোগসড়ক নির্মাণ, ২০টি আরসিসি বক্স কালভার্ট এবং লাইটিংসহ অন্যান্য কাজ। ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ব্রিজটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু এখন তা পিছিয়ে ২০২৩ সালের ৩০ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও